রমজানে ডায়াবেটিক রোগীরা কী কী সমস্যায় ভোগে
চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় ক্রনিক রোগীদের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তারেরা আলাদা পরমর্শ দিয়ে থাকেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের কী কী সমস্যা হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমসি নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
এই যে রমজান মাস চলছে, রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের সাধারণত কোন কোন সমস্যা বেশি দেখতে পাই, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আল মামুন বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস। আমরা অবশ্যই রোজা রাখব। সৃষ্টিকর্তার জন্য ইবাদত করব। সে ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জীবনযাত্রার যে স্টাইল থাকে, রমজান মাসে একটু চেঞ্জ হয়ে যায়। সে জন্য তাকে সতর্ক থাকতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের রেগুলার চেকআপ করতে হবে। তাদের কিছু স্পেশাল নিয়মকানুন, কিছু লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন এবং ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হবে।
ডা. শামীম আল মামুন বলেন, আপনাকে জানতে হবে, রমজান মাসে কি সব ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখতে পারবে? কারা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকিতে আছে, কারা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে, কাদের ঝুঁকি কম আছে। যারা উচ্চ মাত্রার ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কী প্রিকশন দেব। যারা মধ্যম মাত্রার ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কী প্রিকশন দেব। যাদের ঝুঁকি কম, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কী প্রিকশন দেব। এই পুরো ব্যাপারটা আমাকে মোডিফিকেশন করতে হবে। মানে আপনি যে স্টাইলে ১১ মাস চলেছেন, সেই স্টাইল থেকে একটু বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে পারবেন এবং সিয়াম সাধনার মাসে আপনার সাধনাটা পূর্ণ হবে।
উচ্চ ঝুঁকিতে যারা রয়েছে, মধ্যম ঝুঁকিতে যারা রয়েছে, নিম্ন ঝুঁকিতে যারা রয়েছে, সে বিষয়গুলো যদি আমরা আপনার কাছে জানতে পারি, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আল মামুন বলেন, আমরা যদি বলি, আজকে ডায়াবেটিস হতে পারে, কালও হতে পারে, কারও হয়তো ২০ বছর পরে হতে পারে। ঝুঁকি কার বেশি। ডিউরেশন যত বাড়বে, সময় যত বাড়বে, ঝুঁকি তত বাড়বে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর শুধু ডায়াবেটিস রোগ থাকে না। সাথে তার প্রেশার থাকতে পারে, বিভিন্ন রোগ থাকতে পারে। আমরা বলি জেসটেশনাল ডায়াবেটিস, প্রেগন্যান্ট মা যারা, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। অনেকের বছরের পর বছর ডায়াবেটিস রোগ, তার কখনও হাইপোগ্লাইসেমিয়া অ্যাটাক হয় না। কিন্তু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে মাসেও একবার হয়ে যায়। তারা অবশ্যই উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। যারা ক্যানসারের পেশেন্ট, মানে ক্রনিক ডিজিজে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা অবশ্যই বেশি। যারা ইনসুলিন ব্যবহার করে, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে তো ইনসুলিন ছাড়া উপায় নেই। তাদের ঝুঁকির মাত্রা বেশি। এই যে ঝুঁকির মাত্রা, সেগুলো বিবেচনা করে তাদের এ ব্যাপারগুলো দেখতে হয়। আমি যে কন্ডিশনগুলো বললাম, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রাটা বেশি।
রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।