শরীরের জন্য পানি কেন এত জরুরি?
পানির অপর নাম জীবন। এই কমন কথাটি আমরা সবাই জানি। পানি শব্দটি ছোট হলেও বড় কাজ করে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে পানির গুণাগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পানির গুণাগুণ সম্পর্কে বলেছেন স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেডের পুষ্টিবিদ তপতী সাহা।
পুষ্টিবিদ তপতী সাহা বলেন, খাদ্যের যে ছয়টি উপাদান রয়েছে, তার মধ্যে পনি অন্যতম একটি উপাদান। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলের পরেই কিন্তু পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানির চাহিদার কথা যদি বলতে হয় তাহলে আমরা ধাপে ধাপে আসি। শিশু জন্ম নেওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই তার জন্য পরিপূরক খাবার। সে সময় তার পানি না হলেও হবে। এর পর থেকে এক বছর পর্যন্ত খাবারের পাশাপাশি যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ পানি দেওয়া উচিত।
তপতী সাহা বলেন, এক থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে পানি খাওয়ার প্রবণতা অনেক সময় কমে যায়। কারণ, এই সময়ে বাচ্চারা খুব বেশি পরিমাণে অ্যাকটিভ থাকে এবং বিভিন্নভাবে খেলাধুলা ও কাজে পরিশ্রম করার জন্য তাদের অ্যাকটিভি লেভেল এত বেশি হাই থাকে যে তাদের প্রচুর সোয়েটিং হয় এবং পানির চাহিদা দেখা দিতে থাকে। এ সময় তাদের মাথায় থাকে না যে কোন সময় কতটুকু পানি পান করতে হবে। এ সময় বাচ্চাদের অভিভাবকদের খেয়াল করে একটু পরপর পানি পান করাতে হবে।
পুষ্টিবিদ তপতী সাহা বলেন, এ ধাপে আসে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। এ সময় চা-কফি এবং বিভিন্ন ধরনের কোল্ড ড্রিঙ্কস তারা বেশি পছন্দ করে। যদি সুস্থ থাকতে হয়, তাহলে এই জিনিসগুলো অ্যাভয়েড করতে হবে। এ সময় পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে হবে। পরিশ্রমভেদে পানির চাহিদার কথা যদি বলি, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কোন ক্ষেত্রে আমাদের চাহিদা বেশি হবে। আমরা বাইরে যারা অ্যাকটিভ থাকি বা ফিল্ড বেইজ কাজ করি, তাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে খনিস নিঃসৃত রস বের হয়, যেটাকে আমরা ঘাম বলি। যখন প্রচুর ঘাম হয়, তখন ক্লান্তি অনুভব করি। যাঁরা পরিশ্রম বেশি করেন, তাঁদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
পানির গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।