শাল দুধের পুষ্টিগুণ
নবজাতকের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর তা নিতে হবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে। জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ নবজাতককে দেওয়া জরুরি। এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে শাল দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ।
পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, নবজাতক হচ্ছে এইমাত্র জন্মগ্রহণ করা থেকে শুরু করে যে বাচ্চাটা। এ বাচ্চাটা যখন মায়ের পেট থেকে আসে, তখন প্রথম যে খাবারটা তার শরীরের জন্য দরকার, সেটা হচ্ছে মায়ের শাল দুধ। শাল দুধ এমন একটা খাবার যা বাচ্চার জীবনের প্রথম এবং সবচেয়ে মূল্যবান পুষ্টিকর খাবার।
পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের ভাষ্য, সাধারণত একটা বাচ্চা জন্মগ্রহণের পরে প্রথম ছয় ঘণ্টা এই শাল দুধ থাকে। একটা বাচ্চা নবজাতক থেকে শুরু করে বাচ্চার ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং, তার মানে জিরো থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চা শুধু মায়ের বুকের দুধ খাবে। এ সময় বাচ্চার পানিরও প্রয়োজন হয় না, যদি মা পর্যাপ্ত পানি খেয়ে থাকে।
পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ আরও বলেন, এই সময়টা মায়ের পুষ্টি এবং বাচ্চার ক্ষেত্রে সমান পরিমাণে... বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে হয়... মাকে যে খাবারটা দিতে হয়, তাকে আমরা বলি ল্যাকটেটিন ডায়েট। সাধারণত প্রেগন্যান্সির শেষ সময়টাতে যে খাবারটা মা পেয়েছিলেন, তার চেয়ে আরেকটু বেশি খাবার, ৩০০ ক্যালোরি খাবার মাকে এই প্রসূতিকালে অর্থাৎ ল্যাকটেটিন ডায়েট অ্যাড করতে হবে। কিন্তু সেটা হতে হবে হাই ক্যালোরি, হাই প্রোটিন এবং মাকে প্রচুর পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।
পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের পরামর্শ, নবজাতকের ক্ষেত্রে যে জিনিসটা বাচ্চাকে যত তাড়াতাড়ি মা বুকের দুধ দিতে পারবে, তত মা ও বাচ্চার সঙ্গে কিন্তু চমৎকার একটা ভালো রিলেশন হবে। বুকের দুধ বাচ্চাকে দেওয়ার একটি কৌশল আছে। সাধারণত বুকের দুধে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটের একটি রেশিও থাকে, যাতে কমপ্লিট বাচ্চা তিনটাই পেয়ে থাকে। সে কারণে মাকে সঠিক ওয়েতে ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হবে।
শাল দুধের পুষ্টিগুণ ও ব্রেস্ট ফিডিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।