শিশুদের চোখ কখন পরীক্ষা করা উচিত?
চোখ প্রতিটি মানুষের অমূল্য সম্পদ। যার চোখের সমস্যা রয়েছে, সে বোঝে চোখের মূল্য কতটুকু। এই চোখটাকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক শিশু রয়েছে, যারা চোখে চশমা ব্যবহার করে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে।
এ বিষয়টি নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন হেলথ সিক্রেটের পঞ্চম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ভিশন আই হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ, গ্লুকোমা ও রিফ্রাকটিভ সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
আমরা চোখ দিয়ে দেখি। চোখ দিয়ে অনেক সময় অনুভব করা যায়। এই চোখটাকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা অনেক সময় অনেকভাবে চেষ্টা করে থাকি। তবে, যাদের চশমা ব্যবহার করতে হয়, সেক্ষেত্রে এই চশমা থেকে আসলে মুক্তির উপায় কী, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘দেখতে যাদের সমস্যা হয়, তাদেরকে চশমা নিতে হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আমরা চশমা চাই না। তবুও একটা সময় পর্যন্ত চশমার ওপর নির্ভর করতে হয়। বিশেষ করে যেসব বাচ্চাদের চোখের সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে চশমা না দিলে বা চশমা ব্যবহার না করলে চোখের দৃষ্টি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভবিষ্যতে সে অক্ষম থাকবে। এ জন্য ছোটদের যদি চশমা প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হবে।’
ডা. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের চশমা লাগবে কিনা, সেটা বুঝতে স্কুলে যাওয়ার আগে একজন চিকিৎসককে দেখাতে হবে যে বাচ্চা দুই চোখে সমানভাবে দেখে কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। অনেক সময় বাচ্চাদের একটি চোখ ঠিক থাকে। অন্য চোখটি ঠিক থাকে না। সেটা ওই বাচ্চা বুঝতে পারে না। বোঝার আগেই ওই বাচ্চাটি বড় হয়ে যায়, তখন কোনও উপায় থাকে না। টিনএজে শারীরিক গঠনের সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হয়। তাই চোখের পাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করতে হয়।’
যেসব বাচ্চাদের চোখের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, তারা বুঝতে বা বলতে পারছে না। সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা কী হতে পারে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এক্ষেত্রে প্রতিটি বাবা-মায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। এরচেয়ে বেশি দায়িত্ব হচ্ছে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের। তাদেরকে এ বিষয়ে জাতীয়ভাবে কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। প্রতি বছর স্কুলে বাচ্চাদের চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। স্কুলের বোর্ডে অক্ষরগুলোকে ২০ ফুট দূর থেকে প্রতিটি শিশুকে এক চোখ বন্ধ করে দেখতে হবে–পড়তে পারে কিনা। এভাবে দুটি চোখ দেখতে হবে। পড়তে পারলে শিশুটির চোখ ভালো আছে। আর না পড়তে পারলে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে।’
ডা. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যেসব স্কুলে এসব ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই সমস্যা সমাধান করতে বাবা-মাকে দায়িত্ব নিতে হবে। এরপর ১৮ বছর অতিক্রম হলে চশমা ছাড়ার সময় হবে।’
চশমার বিকল্প সম্পর্কে আরও জানতে ওপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।