শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে পারিবারিক বন্ধনের ভূমিকা
শরীরের মতোই মনের স্বাস্থ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা দরকার, তেমনই শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে পারিবারিক বন্ধনের ভূমিকা সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন টেক কেয়ার হসপিটালে মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড রিলেশনশিপ কাউন্সিলর এবং জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফিজিওলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে পারিবারিক বন্ধনের ভূমিকা কী এবং আরেকটি বিষয় যেটা আমরা বলি, বড়দের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয়, শিশুদের ক্ষেত্রেও তেমন ওষুধের প্রয়োজন হয় কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, প্রথমে আসি পারিবারিক বন্ধনের বিষয়ে। অবশ্যই এটা সবার জন্য। শুধু শিশুদের জন্য না, সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পারিবারিকভাবে দেখা যায় সবাই ব্যস্ত থাকে, বাচ্চাদের স্কুল একসময় ছুটি হয়, মা-বাবা হয়তো বাইরে কাজ করে। একেক জন একেক টাইমে বাসায় ফেরে। অন্তত একটা মিল একসাথে খেতে হবে। সেটা ডিনার হতে পারে।
আর ওষুধের বিষয়টি, সঞ্চালকের এ কথার জবাবে ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, ওষুধের বিষয়টি হলো, মানসিকভাবে যদি অসুস্থ হয়, এটা বাচ্চা হোক বা অ্যাডাল্ট হোক, সবার ক্ষেত্রেই ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন আছে। মেডিকেশন লাগতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। সাইকোথেরাপি ও মেডিকেশন, দুটো একসাথে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।