সন্তান ধারণে অক্ষম হলে কী করবেন
সন্তানের মুখ দেখার চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। কিন্তু অনেকেই নানান শারীরিক সমস্যার কারণে সন্তান ধারণ করতে পারেন না। বন্ধ্যত্বের সমস্যায় সন্তানহীন থাকেন অনেকে। কিন্তু বর্তমানে এর আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন সুস্থতার ব্যবস্থাপত্র-এ বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বলেছেন আসগর আলী হাসপাতালের গাইনোকলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নাতাশা তিলোত্তমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
বন্ধ্যত্ব কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাতাশা তিলোত্তমা বলেন, বন্ধ্যত্ব বা ইনফার্টিলিটি বলতে আমরা যেটা বলি, কোনও দম্পতি টানা এক বছর একসাথে থাকছে এবং কোনও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া ও নিয়মিত সহবাস করছে। নিয়মিত সহবাস কী। তারা সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার বার সহবাস করছে। কিন্তু তার পরেও কনসিভ করতে পারছে না বা বাচ্চা ধারণ করতে অক্ষম হচ্ছে। তখন আমরা তাকে ইনফার্টিলিটি বলছি।
ডা. নাতাশা তিলোত্তমা বলেন, একটা মেয়ের বয়স যখন পঁয়ত্রিশের ওপর চলে যাচ্ছে, তখন আমরা এক বছর টাইম দেব না। আমরা এখানে ছয় মাস টাইম দেব। কারণ, মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সটা খুব প্রাধান্য পায়। কারণ, বয়সের সাথে সাথে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এ জন্য কোনও মেয়ের যখন বয়স পঁয়ত্রিশের ওপর হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে কোনও দম্পতি যদি ছয় মাস পরেও কনসিভ করতে না পারে, তখন তাদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তখন তাকে ইনফার্টিলিটি বলা হবে।
বাংলাদেশে ইনফার্টিলিটির হার কেমন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাতাশা তিলোত্তমা বলেন, মানুষ এখন সচেতন। মানুষ ইনফার্টিলিটির জন্য ট্রিটমেন্ট সিক করছে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দম্পতি ইনফার্টিলিটিতে ভুগে থাকে। সে হিসাবে কম বলব না। এলার্মিং। প্রতি আট জন দম্পতির মধ্যে একজন ইনফার্টিলিটিতে ভুগছে।
ডা. নাতাশা তিলোত্তমা যুক্ত করেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নারী, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ, আবার ২০ থেকে ৩০ ভাগ উভয়ের এবং অব্যাখ্যাত ১০ ভাগ। এটা নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে।
বন্ধ্যত্ব কী, বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।