স্থূলতা কমাতে খাদ্যাভ্যাস
বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যার নাম ওবেসিটি বা স্থূলতা। এ নিয়ে অনেকে চিন্তিত। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে স্থূলতা কমাতে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বায়ো-জিন কসমেসিউটিক্যালসের ফিটনেস নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ।
জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ বলেন, স্থূলতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন আপনি যখন আইডল লাইফ লিড করেন, তখন ওবেসিটি আসতে পারে। যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন, স্থূলতা তখনও আসতে পারে। এ ছাড়া আপনি যে খাবারটা খাচ্ছেন, সেটা খাবার কিছুটা বার্ন না করলেও স্থূলতা চলে আসতে পারে।
জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ বলেন, স্থূলতা প্রতিরোধে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি। আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে কিছু সহজ সমাধান। যেমন স্থূলতা প্রতিরোধে আপনি পরিমাণমতো খাবার খেতে পারেন। প্রতিদিন কিছুটা শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন। এ ছাড়া যেটুকু খাবার প্রয়োজন তার চেয়ে অতিরিক্ত খেয়ে না ফেললেও কিন্তু আপনি স্থূলতা প্রতিরোধ করতে পারেন। ওবেসিটি প্রতিরোধে আমরা যে খাবারগুলো অ্যাভয়েড করতে পারি, সেগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, মিষ্টিজাতীয় ফল, যে সব খাবার আমরা ফাস্টফুড হিসেবে গ্রহণ করে থাকি, সে সব খাবার; এ ছাড়া জুস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যে সব হাতের নাগালে আছে, সেগুলো অ্যাভয়েড করলে কিন্তু আমরা স্থূলতা এড়াতে পারি।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, স্থূলতা প্রতিরোধে আমরা যে খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারি, যে খাবারগুলো আমাদের মোটামুটি সুস্থ শরীর দিতে সাহায্য করে, সে খাবারগুলো হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাবার, যা আমরা শাকসবজি থেকে পেতে পারি। সিজনাল টক ফলগুলো আমরা খেতে পারি, যা আমাদের ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে এবং ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। এ ছাড়া মেটাবলিজম বুস্ট করতে সাহায্য করবে যে সব খাবার, সে খাবারগুলো হচ্ছে গ্রিন টি, ব্ল্যাক কফি, একটু ডিটক্স ওয়াটার, যেটা আমরা দিনে দুবার পান করার চেষ্টা করব। এ ছাড়া বাদাম, ছোলা খেতে পারেন। এগুলো পেট ভরা রাখে অনেকক্ষণ, তাহলে অন্য খাবারের প্রতি আগ্রহ হারাব।
জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ যুক্ত করেন, ওবেসিটি প্রতিরোধে আমরা যেটা করতে পারি, তা হলো এক্সারসাইজ। একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে আমরা যদি এক্সারসাইজ করি, ২০ থেকে ৩০ মিনিট যদি প্রতিদিন হাঁটি, তাহলে আমাদের স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব রাতের খাবারটা শেষ করা এবং খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে না পড়া, নিয়মকানুন মেনে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপনই করতে পারে আপনার স্থূলতা প্রতিরোধ। তাই একটি সঠিক নিয়মে জীবনটাকে অতিবাহিত করুন এবং স্থূলতাকে প্রতিরোধ করুন।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।