হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধের উপায়
মাতৃত্বের স্বাদ কে না পেতে চায়। কিন্তু গর্ভধারণের আগে থেকে মাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে, যাতে অনাগত সন্তান ও মা ঝুঁকিমুক্ত থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্যাক্টর যুক্ত থাকে। বয়স তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি ও এ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ্যত্ব বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি যদি কারও ক্ষেত্রে হয়েই যায়, সে ক্ষেত্রে সেটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের কী কী করা উচিত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, যদি আরলিতে বিয়ে হয়, তাহলে অবশ্যই গাইনোকলজিস্টের শরণাপন্ন হবেন। তখন গাইনোকলজিস্ট বুঝবেন তাঁর কোনও প্রবলেম আছে কি না। সেটা দেখে উনি হয়তো কোন পিল অ্যাডভাইজ করবেন। কিংবা আরেকটা হতে পারে যে, হ্যাঁ, যদি আগে থেকেই এ ধরনের কোনও প্রবলেম হয়ে থাকে, তাহলে সেই ডিজিজগুলো আইডেন্টিফাই করেই কিন্তু ওই ডিজিজগুলো যাতে না হয়, মাত্রাতিরিক্ত যাতে না হয়, কীভাবে ঠিক মাত্রায় থাকে, সে জিনিসগুলো উনি মেজার নেবেন।
ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, ত্রিশের পরে যখন বিয়ে হবে, তখন তো উনি সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চা নেওয়ার ট্রাই করবেন এবং অবশ্যই যেটা দেখা যায় যে ছয় মাস উনি হয়তো বা ট্রাই করবেন। ছয় মাস পরেই কিন্তু উনি গাইনোকলজিস্টের শরণাপন্ন হবেন বাচ্চা নেওয়ার জন্য, যদি এই ছয় মাসের মধ্যে উনি কনসিভ না করেন। যত দ্রুত সম্ভব প্রেগন্যান্সিতে চলে আসতে হবে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, যাঁরা অলরেডি ডায়াবেটিক কিংবা যাঁদের অলরেডি আগে থেকেই থাইরয়েড হরমোনের প্রবলেম ডিটেকশন হয়েছে, যাঁরা অলরেডি আগে থেকেই হাইপারটেনসিভ, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, এ ধরনের সমস্যা থাকলে কনসিভ করার আগেই উনারা ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন, যেটাকে আমরা বলি প্রি-কনসিভশনাল কাউন্সেলিং। মানে কনসিভ করার আগেই উনারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।