রোজায় পানিশূন্যতা রোধে পাঁচ পরামর্শ
আমাদের শরীরের জন্য পানি অপরিহার্য। পানি ছাড়া জীবন চিন্তাই করা যায় না। রোজার এই সময়টায় আমরা দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকি। পানীয় অনেকক্ষণ পান করা হয় না বলেই এই সময় পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন।
- প্রথমত ইফতারের পর আমাদের প্রচুর পানি পান করতে হবে। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত সারা দিনে যে পরিমাণ পানি দরকার ছিল, সেটি পান করতে হবে। পানি কম পান করা হলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সেহরির সময়ও বেশি করে পানি পান করুন।
- ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করা স্বাস্থ্যকর। এর পরই কিন্তু পানীয় বেশি পরিমাণে পান করতে হবে। জুস, ডাবের পানি, শরবত ইত্যাদি পানির পাশাপাশি পান করতে হবে।
- তারাবির নামাজে পানি নিয়ে যেতে পারেন। নামাজের ফাঁকে ফাঁকে পানি পান করুন। যদি ঘাম বেশি হয়, রক্তচাপ কম থাকে তাহলে ওরস্যালাইন পান করতে পারেন।
- চা, কফি বেশি পান করলে প্রশ্রাব বেশি হবে। এতে পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই এই সময় চা-কফি পান কমিয়ে দিন।
- ঘাম বেশি হলেও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই রোদে ভারী কাজ করবেন না। রোজার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পানীয় পান করুন, সুস্থ থাকুন।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ