অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে
অ্যান্টিবায়োটিক দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত এটি ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও মেরে ফেলে, যা দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টিবায়োটিক অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা দিলেও এটি সেবনের ফলে অনেকের দেহে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যেমন : পেট অস্বাভাবিকভাবে ফোলা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকটাই রোধ করা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে কিছু পরামর্শ।
* প্রথমত দূর করতে হবে সেই কারণগুলো, যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়।
* মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। চকলেট, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার, ঝালযুক্ত খাবার, চা ও কফি এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
* এ সময় কমলার জুস না খেয়ে সরাসরি ফল খান। ভিটামিন সি সরাসরি ফলে বেশি পাওয়া যায়। জুস কেবল দেহের শর্করা বাড়াবে; যা আপনার অবস্থাকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
* যখন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করছেন, তখন দই খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিকস; যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কোর্স শেষেও অনেক দিন খেতে পারেন এটি।
* আচার, গাজর ইত্যাদির মধ্যেও রয়েছে এই স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিকস। আপনার খাদ্যতালিকাতেও যোগ করতে পারেন প্রোবায়োটিকস-জাতীয় খাবার।
* যখন ওষুধ সেবন করছেন তখন হালকা এবং হজম হবে এমন খাবার খান। কেননা আপনার হজমশক্তি বেশ দুর্বল থাকবে এই জাতীয় ওষুধ সেবনের পর।
* নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামও অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে কার্যকরী।
* এ সময়টায় রসুনও খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন, যা অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
* ভিটামিন এ, সি, ই, জিংক এবং সেলেনিয়াম এ সময় খুব উপকারী। তাই এসব সম্বৃদ্ধ খাবার খান। আমলকীর জুসও খেতে পারেন; এটি অন্ত্রের আবরণকে সুরক্ষা দেয়।
* যদি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তবে ভুসির শরবত এবং তিসি খেতে পারেন। এটি কেবল পেটের সমস্যাকেই কমাবে না, ডায়রিয়া থেকেও পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে।