বর্ষাকালে শিশুকে সুরক্ষিত রাখার ৫ টিপস
গ্রীষ্মকালের তীব্র তাপদাহের পর চলে এসেছে বর্ষাকাল। এ সময় সবাই বর্ষাকে বরণ করে নেয়। আনন্দে মেতে ওঠে সব বয়সী মানুষরা। কিন্তু বর্ষার আগমনের সাথে সাথে দেখা দেয় নানা রোগের। যা নিঃসন্দেহে আপনার শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এ সময় আপনার শিশুর প্রতি মনোযোগী হন। শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
ডাঃ শালিনী বিজয়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অব অবস্টেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বর্ষাকালে জলবাহিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। তাই শিশুর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই যারা নতুন বাবা-মা হয়েছেন, তারা বাচ্চাকে বর্ষা থেকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন”। তিনি বর্ষাকালে শিশুর যত্নের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বৃষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখুন
বাচ্চার জন্য ছাতা, রেইনকোট এবং রেইন বুট রাখুন। যা আপনার বাচ্চাদের বর্ষাকালে সুরক্ষিত রাখবে। কোথাও যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সাথে রাখুন। বর্ষাকালে, তাপমাত্রা অপ্রত্যাশিতভাবে শীতল হয়ে যেতে পারে। আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে আপনার বাচ্চাকে আরামদায়ক সুতির পোশাক পড়ান। তবে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলে শিশুকে হালকা জ্যাকেট পড়িয়ে দিন। শিশুর পোশাক যেন ভেজা না থাকে তা নিশ্চিত করুন। বর্ষাকালে, পোশাক আর্দ্রতা শোষণ করে। যা ছত্রাকজনিত রোগের কারণ হতে পারে।
ডায়াপারের দিকে খেয়াল করুন
বর্ষাকালে আপনার শিশুকে এক মিনিটের জন্যও ভেজা ডায়াপার পরতে দেবেন না। বৃষ্টির দিনগুলিতে, শিশুরা অন্যান্য ঋতুর চেয়ে বেশি প্রস্রাব করে। যা ত্বকে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে। নবজাতকরা শীতল বোধ করতে পারে। তাই শিশুর ন্যাপি ভিজে গেলে বা ময়লা হয়ে গেলে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করুন।
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
জ্বর, শারীরিক ব্যথা, হাঁচি এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো বর্ষাজনিত অসুস্থতার বৈশিষ্ট্য। এমনকি ভাইরাল সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, শীঘ্রই সরাসরি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
মশা দূরে রাখুন
মশার কামড় নবজাতকের মধ্যে তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অঞ্চলে লাল ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিশিকে এই সময় মশারির ভিতরে রাখুন। প্রাকৃতিক উপায়ে মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন।
বর্ষাকালে আপনার বাচ্চাকে কখন গোসল করানো উচিত?
ডাঃ শালিনী বিজয় এ ব্যাপারে বলেছিলেন, “একটি শিশুর প্রতিদিন গোসলের প্রয়োজন হয় না। কারণ সে বেশিরভাগ সময় ঘরের ভিতরে কাটায়। আপনার শিশুকে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করান। আপনার বাচ্চা যদি বাইরে থাকে তবে তাদের অবশ্যই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন। বাচ্চাদের যত্নের নির্দেশাবলী মেনে চলুন। তাহলেই আপনি তাদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষায় আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন”।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস