শীতে যেভাবে চুলের যত্ন নেবেন
শীত এসে গেছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আপনার চুল কোমল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ত্বকের মতোই চুলও ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে। তাই তীব্র ঠান্ডার মধ্যে আপনার চুল স্বাস্থ্যকর রাখতে শীতে চুলের যত্নের কিছু টিপস জেনে নিন।
টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে রাখুন
শীতে টুপি ও স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ঠান্ডা বাতাস থেকে আপনার চুল রক্ষায় প্রথমে সিল্ক বা সাটিন স্কার্ফ দিয়ে এবং এরপরে তুলা বা পশমি কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকুন। সেক্ষেত্রে সিল্ক বা সাটিন হলো আপনার সেরা বিকল্প। কারণ সরাসরি তুলা বা পশমি কাপড় দিয়ে ঢাকলে চুলে ঘর্ষণ লাগতে পারে; এতে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে, এমনকি চুল ভেঙে যেতে পারে।
চুল শুকাতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা
শীতে স্ট্রেইটনার, হেয়ার ড্রায়ার ও চুলের স্টাইলিংয়ের অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার কমান। এগুলোর ব্যবহারে আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে এবং খুশকি জন্ম দিতে করে। তাই শীতে এগুলোর ব্যবহারে সাবধান হোন।
গরম পানি দিয়ে চুল না ধোয়া
গরম পানি আপনার চুলের আর্দ্রতা ছিনিয়ে নিতে পারে, এটি চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে এবং ভেঙে পড়ার প্রবণতা তৈরি করতে পারে। তাই গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত নয়। একান্ত প্রয়োজনে ঠান্ডা পানির সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে পানির শীতলতা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে ব্যবহার করতে পারেন, এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ফের চুল ধুয়ে নিন।
তেল ব্যবহার
শীতে আপনার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তেল ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে দ্রুত প্রাণ ফেরানোর হাতিয়ার হতে পারে তেল। এছাড়া আপনি আরগান অয়েলযুক্ত হেয়ার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিদিন আপনার চুলের আগায় তেল লাগান, এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং সুরক্ষিত থাকবে।
ছত্রাক নির্মূল
এই ঋতুতে আপনার মাথার ত্বকে সাদা বা হলুদ রঙের ছত্রাক দেখতে পাবেন, এগুলো আপনার কাঁধে ঝড়ে পড়তেও পারে। শীতকালে প্রায়ই খুশকি হওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। আর ছত্রাকের সংক্রমণ বা মাথার শুষ্ক ত্বক খুশকি সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। তাই শীতে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যাতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, জিংক পাইরিথিওন, কেটোকোনাজল ও সেলেনিয়াম সালফাইডের মতো সক্রিয় রাসায়নিক রয়েছে; যেগুলো মাথার ত্বকের ছত্রাক ও খুশকি প্রতিরোধ করবে।
ফ্রিজিং এড়াতে চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করুন
শীতের শুষ্ক বাতাসে আপনার চুলের কিউটিকল আরও ফাঁকা হয়ে যেতে এবং আর্দ্রতা হারাতে পারে। এর ফলে চুল শুষ্ক ও ফ্রিজ হয়ে যায়। তাই ফ্রিজিং এড়াতে ও চুলকে কোমল রাখতে কয়েকদিন পরপর ডিপ কন্ডিশনিং করুন।