বাদাম খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন?
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে বাদাম খেলে চর্বি বাড়ে। সেটা পুরোপুরি ঠিক নয়। ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও বাদাম খেতে পারেন। তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। পুষ্টির দিক থেকে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদাম খাবার তালিকায় শীর্ষে থাকলেও চিনেবাদাম কিন্তু পিছিয়ে নেই। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন যে, চিনাবাদামে পাওয়া উপাদানগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও বাদাম খেতে পারেন। তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। জেনে নিন একমুঠো বাদামে কী কী উপকার পাবেন।
প্রোটিন
যারা মাছ, মাংস ও ডিম খান না তারা প্রোটিনের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বাদাম খান। পুষ্টিবিদদের মতে, বাদাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। ৭ থেকে ১০ গ্রাম বাদামে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে, তা একটি ডিমের সমান।
ফ্যাট
চিনাবাদামে যে ধরনের চর্বি থাকে, তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাদামে থাকা মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক
বাদামে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে। তাছাড়া নিয়মিত একমুঠো বাদাম খেলে হজমের সমস্যা হবে না। ভাল হজম হলে বিপাকহারের উপর প্রভাবিত করে। বাদাম রক্তে ইনসুলিন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার মতো কোনো সমস্যা হয় না।
ভিটামিন এবং খনিজ
চিনাবাদাম ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িত অনেক পদার্থের নিঃসরণে সহায়তা করে। এ ছাড়াও, পুষ্টিবিদরা স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চিনাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে
অনেকে মনে করেন বাদাম খেলে শরীরের মেদ বাড়ে। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। চিনাবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ কিন্তু ক্যালোরি কম।