কদবেল কেন খাবেন?
কদবেল একটি মৌসুমি ফল। টক স্বাদের কারণে এটি জ্যাম এবং চাটনি তৈরির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কদবেল অধিকাংশ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ফল। চলুন জেনে নেওয়া যাক কদবেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলে রয়েছে ১৩৪ ক্যালরি, সাত গ্রাম প্রোটিন, চার গ্রাম চর্বি, দুই গ্রাম খনিজ, পাঁচ গ্রাম ফাইবার, ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১১০ মিলিগ্রাম ফসফরাস। কদবেলে রয়েছে ফাইটোকম্পোনেন্ট মারমেনল, মারমিন, মারমেলোসিন, মারমেলাইড, সোরালেন, অ্যালোইম্পেরটোরিন, রোটারেটিন, স্কোপোলেটিন, এজলিন, মারমেলিন, ফ্যাগারিন, লিমোনিন, আলফা-ফেল্যান্ড্রিন, বেটুলিনিক অ্যাসিড এবং অ্যানহাইড্রোমারমেলিন।
উপকারিতা
— ডায়রিয়া প্রতিরোধ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে খাওয়া হয়। এত থাকা ই. কোলাই এবং শিগেলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট পাকস্থলীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আয়ুর্বেদ এবং লোকজ ওষুধ বহু শতাব্দী ধরে ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য কদবেল ব্যবহার করেছে।
— উচ্চ ফাইবার উপাদান এবং রেচক বৈশিষ্ট্যের কারণে কদবেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে খুবই সহায়ক।
— কদবেল ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। কদবেলে এমন উপাদান রয়েছে, যা ব্যাসিলাস সাবটিলিস, স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস এবং ই. কোলাইয়ের মতো রোগজীবাণুকে বাধা দেয়।
— হাঁপানির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য কদবেল পাতার নির্যাসের আয়ুর্বেদিক ব্যবহার অনেক আগে থেকে প্রসিদ্ধ। কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মধুর সঙ্গে তাজা কদবেল পাতার নির্যাস হাঁপানির বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর।
— কদবেল পেটের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি ফল। এতে আলসার নিরাময়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর পাইলস এবং আলসারের চিকিৎসায় এটি সহায়ক হতে পারে।
— কদবেল কিডনির স্বাস্থ্য এবং রক্তচাপের জন্য ভাল। এটি একটি মূত্রবর্ধক, যা কিডনিকে সাহায্য করে প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম অপসারণ করতে। ফলে রক্তচাপ কমে যেয়ে রক্ত শিরা এবং ধমনী থেকে চাপ কমে।
— ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কদবেল খুবই উপকারি একটি ফল। এটি শরীরে কার্বোহাইড্রেটের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের অগ্রগতি ধীর করে দেয়। এ ছাড়া এটি দেহের ক্ষতিকর চিনির বৃদ্ধি প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
— কদবেল উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এই ফলের রস দেহের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হতে পারে।
— কদবেলের নির্যাস স্তন ক্যান্সার সৃষ্টিকারি কোষের বিস্তার বন্ধ করতে পারে।