মুখে ঘা, কারণ, প্রতিকার ও করণীয়
মুখের ভেতর, মাড়ি বা জিভে অনেক সময় ঘা দেখা যায়। এটি যেমন কষ্টদায়ক তেমনি মুখের ভেতর একধরনের অস্বস্তির অনভূতি হয়। বিভিন্ন কারণে মুখে ঘা হয়, তার মধ্যে যে সকল অন্যতম কারণগুলো হলো :
১. ডায়াবেটিক রোগী
২. গর্ভাবস্থায়
৩. বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ
৪. ভিটামিন এর অভাব
৫. মানসিক চাপ
৬. দাঁত ও মাড়িরোগ
৭. ওপরের দিকের মাড়ির দাঁত ও নিচের দিকের মাড়ির দাঁতের কারণে অনেক সময় গালে কামড় লাগে, এর কারণেও মুখে ঘা হয় বলে ধারণা করা হয়।
৮. জোরে দাঁত ব্রাশ করলে অনেক সময় মাড়িতে আঘাত লাগে, সেখান থাকেও এক ধরনের ঘা হতে পারে। সাধারণত সকল বয়সী নারী-পুরুষের মুখে এপথাস আলসার নামের একধরনের ঘা বেশি দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয় ভিটামিন বি-এর স্বল্পতা, অনিদ্রা, অপরিচ্ছন্ন মুখগহ্বর, মানসিক চাপ, ধারালো বা অস্বাভাবিকভাবে দাঁত ক্ষয় হয়। এর ফলে দাঁতের ধারালো অংশ ক্রমাগতভাবে জিহ্বা বা মুখের ভেতর আঘাত করে। বেশির ভাগ আলসার বা ঘা এ কারণে হয়ে থাকে।
৯. এ ছাড়া স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ সেবন, অনেক দিন ধরে রোগে ভোগা, ক্যানসার এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে -এসব কারণে ক্যানডিডা নামক একধরনের ছত্রাক সংক্রমিত হয়, এর ফলে মুখে ঘা হয়ে থাকে।
১০. যেসব হাঁপানি রোগী অনেক সময় ইনহেলার গ্রহণ করে, তাদের সাবধানতার সঙ্গে সেটি গ্রহণ করা উচিত। এটি গ্রহণের পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। মুখে ঘা হওয়ার কারণে সামান্য ব্যথা, ক্ষত জায়গায় জ্বালা হতে পারে।
প্রতিরোধ
১. যেহেতু আঘাতের কারণে এটি বেশি দেখা যায়, তাই দাঁত ব্রাশের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।
২. এ সমস্যা রোধের জন্য পরিমিত খাবার, ঘুম, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা দরকার।
৩. ধারালো দাঁতের কারণেও ঘা হতে পারে। এমন অবস্থায় আপনি যদি খুব বেশি অসুবিধা মনে করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে আশার কথা এটি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তাই মুখগহ্বর নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।