যে সাত কারণে ডাবের পানি পান করবেন
গরম থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস ডাবের পানি হতে পারে খুব ভালো অপশন। এই পানিতে রয়েছে জাদুকরি সব স্বাস্থ্যকর উপাদান। ডাবের পানির কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা হয়তো শুনে থাকবেন। সারা বিশ্বেই ডাবের পানির কদর রয়েছে। ডাবের পানি নিয়মিত পান করলে আপনি পেতে পারেন বেশ কিছু উপকার। এসব উপকারের কথা জানিয়েছে হেলদি ফুড টিম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডাবের পানি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মূত্রনালি-সংক্রান্ত ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত এই পানি পান করলে দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর হয়। যেসব ভাইরাসের কারণে ঠান্ডা লাগে, সেই ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীরের টক্সিন (বিষাক্ত উপাদান) দূর করতে সাহায্য করে।
পরিপাকে সাহায্য করে
ডাবের পানিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, যা পরিপাকের জন্য ভালো। নিয়মিত পানে গ্যাস্ট্রিক এসিড থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
ওজন কমায়
ডাবের পানির মধ্যে অল্প পরিমাণে চর্বি রয়েছে, তাই বেশি করে এটা খাওয়া যায়। এটা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য ভালো
ডাবের পানিতে তুলা ভিজিয়ে নরম করে ব্রণের মধ্যে লাগালে এটি দ্রুত দূর হয়ে যায়। তৈলাক্ত বা শুষ্ক উভয় ত্বকের জন্য এটি কার্যকর। সাত দিন নিয়মিত এই পানি পান করলে আপনার ত্বক সজীব থাকবে। আপনি যদি ত্বকের ব্যাপারে যত্নশীল হন এবং ত্বক আর্দ্র রাখতে চান, নিয়মিত এক কাপ ডাবের পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শারীরিক পরিশ্রমের পরে যদি খুব ক্লান্ত বোধ করেন, তবে নারকেল পানি পান করুন। প্রতিটি অঙ্গে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সকালের ক্লান্তি দূর করতে
মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এবং সকালের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখে
কেবল এক কাপ ডাবের পানি শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যহীনতা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গর্ভকালীন বেশ কিছু জটিলতা কমে যায়।
কিডনির পাথর
কিডনিতে পাথরের জটিলতা রোধে খাবারের তালিকায় ডাবের পানি রাখতে পারেন। প্রতিদিন এই পানি পান করলে কিডনির পাথরগুলো ভেঙে যাবে এবং কিডনি পরিষ্কার থাকবে।
ডাবের পানির গুণ আছে বলে সবার জন্যই এটি উপকারী হবে, এমনটা নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। সবার শরীরের অবস্থা সব সময় একরকম থাকে না। তাই যেকোনো খাবার নিয়মিত গ্রহণের আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করলে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন।