চিনি খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়? দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া উচিত
অনেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা চিনি খেতে পছন্দ করেন। খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু না খেলে যেন পরিপূর্ণ হয় না খাওয়া। আর এই মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের মূল উপকরণ চিনি। আর এই চিনির উপকারিতা যত, ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি। তবে যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ৩-৫ চামচ চিনি খেতে পারেন! তার বেশি কখনোই খাওয়া ঠিক নয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনিকে না চেনাই ভাল। চলুন জেনে নিন বেশি চিনি খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হয়।
চিনির গ্লুকোজ শরীর শোষণ করে নেয়। কিন্তু পরিষোধিত চিনিতে ফ্রুকটোজ বেশি থাকে। ফ্রুকটোজকে একমাত্র পরিশোধন করতে পারে লিভার। লিভারে গিয়ে এই ফ্রুকটোজ চর্বিতে পরিণত হয়। ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বেশি চিনি খেলে লিভার অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়। ফলে লিভারে জটিলতা তৈরি হয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
ওজন ও ডায়াবেটিস বাড়াতে চিনির জুড়ি মেলা ভার! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কিডনির জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে কিডনিতে পাথরও তৈরি হতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে প্যাংক্রিয়েটিক ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্তের ক্যানসার, গলা, ফুসফুস, রেকটাম ও স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় হ্রদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা।
স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ফলে মস্তিষ্কের বিভ্রাট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দেহের বিভিন্ন হাঁড়ের সংযোগস্থলে, বিশেষ করে পায়ের হাড়ের ব্যথার অন্যতম কারণ চিনি।
স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ফলে মস্তিষ্কের বিভ্রাট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দেহের বিভিন্ন হাঁড়ের সংযোগস্থলে, বিশেষ করে পায়ের হাড়ের ব্যথার অন্যতম কারণ চিনি।
বেশি চিনি খেলে নারী ও পুরুষ, উভয়েরই যৌন জীবনে ক্ষতি হতে পারে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বাড়িয়ে দেয় সি-পেপটাইডের ঘনত্বও । হানা দেয় ডিপ্রেশন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খনিজ পদার্থের কার্যকারিতা কমে যায়।
সূত্র : নিউজ ১৮