রোজায় এসিডিটি কমাবেন যেভাবে
আমরা রোজার মাস ছাড়া অন্য সময়ে তিনবেলা নিয়ম করে খেয়ে থাকি। কিন্তু রমজান মাসে খাওয়ার এ নিয়মে ব্যত্যয় ঘটে। সারাদিন না খেয়ে থাকি আমরা। আবার রাতের অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার খাই। এতে পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। দেখা দেয় এসিডিটির সমস্যা।
আমরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজান মাসে বেশি খাই। এ খাবারগুলোও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সারাদিন না খেয়ে ইফতারিতে যখন আপনি তেলে চুপচুপে পেঁয়াজু খাবেন, তখন পাকস্থলী কি তা সহ্য করতে পারবে? পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা তো হতেই পারে। অনেকে ইফতারির সঙ্গে অনেক খাবার খেয়ে খাকেন। এতেও পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। আর আগে থেকে যাদের আলসারের সমস্যা আছে তাদের তো কথাই নেই।
ইফতারিতে বলতে আমরা যা বুঝি, তা খেলে তো পেটে সমস্যা হবেই।
রোজার শুরুর দিনগুলোতে যে কেউ এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
– রমজান মাসে অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। এবার বেশি পরিমাণে না খেলে অল্প অল্প করে খেতে পারেন। ছোলা-মুড়ি পেটে এসিডিটি বাড়ায়। সুস্থ থাকতে এসব বাদ দিতে পারেন। সেই সঙ্গে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার কম খান।
– ইফতারিতে ফলের জুস বেশি করে পান করুন। ইফতারির পর অল্প অল্প পরিমাণে, বারবার পানি ও পানীয় পান করুন। রান্নার সময় তেল একটু কমিয়ে দিন।
– বাইরের হালিম পেটে ব্যথা, বুক জ্বালা বাড়াবে। তাই ভেবে দেখুন খাবেন কি না।
– বন্ধ করুন কফি ও ধূমপান। একটু উঁচু বালিশে শুতে পারেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য এন্টাসিড, এন্টিহিসটামিন বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যেমন ওমিপ্রাজল, পেন্টোপ্রাজল ইত্যাদি ওষুধ খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
তবে যাদের আলসার আছে, তারা রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।