রক্তচাপ কমাতে জেনে নিন ঘরোয়া ৫ উপায়
বিভিন্ন কারণে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। তারমধ্যে অন্যতম কালণ হচ্ছে- ব্যস্ততা, মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, কোনো বিষয় নিয়ে অত্যধিক ভাবনা। একটা বয়সের পর এই ধরনের ক্রনিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইদানিং অবশ্য কম বয়সেও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ খান অনেকেই।
রক্তচাপ একবার বেড়ে গেলে, তা স্বাভাবিক করে তোলা সহজ নয়। তার জন্য বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়। রক্তচাপ যদি নিজের খেয়ালখুশি মতো বাড়তে থাকে, তা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ তো খেতে হবেই। তবে ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ঘরোয়া উপায়েও রক্তচাপ কমাতে পারেন। এজন্য আপনাকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। জেনে নিন নিয়মগুলো-
শরীরচর্চা
ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেক দিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করা অবশ্য করণীয়। যত কার্ডিও করবেন, তত রক্ত চলাচল বেশি হবে, তত হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। হৃদরোগের আশঙ্কা কমবে। হাঁটাচলা করলেও মিলবে উপকার।
পটাশিয়াম খান
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পটাশিয়াম বেশি করে খেতে হবে। রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি পুষ্টি। তাই পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কলা, অ্যাভোকাডো, টমেটো, মিষ্টি আলু, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন।
ধূমপান পরিহার করুন
রক্তচাপ যাঁদের বেশি ধূমপান, মদ্যপান অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে। ধূমপান এবং মদ্যপানের প্রতি আসক্তি কমাতে না পারলেও, পরিমাণ যেন সীমিত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিনও রক্তনালির মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল।
লবণ কম খাওয়া
সাধারণ মানুষের প্রত্যেক দিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। সেখানে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জীবন থেকে লবণের স্বাদ বাদ দিয়ে দিতে পারলেই ভাল। বাইরের জাঙ্ক খাবার, ভাজা খাবার, বিস্কুট-চানাচুরেও লবণ থাকে। তাই যে কোনো বাইরের খাবার খাওয়ার আগে সাবধান হন।
কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন
কার্বোহাইড্রেট কম খান। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটি, বার্গার, সাদা পাঁউরুটির মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনি আটার রুটির বদলে জোয়ার, বাজরা ও রাগির রুটি খেতে পারেন। সাধারণ ইডলি-দোসার পরিবর্তে সুজি বা রাগির ইডলি খান। হোল গ্রেনের আটা, পাউরুটি খেলে ভাল। ওজন যত নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, তত রক্তচাপও কম থাকবে।