জেনে নিন গরমে মধু খাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি
অনেকের দিন শুরু হয় মধু খেয়ে। কেউ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা বছরই কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। মধু একদিকে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অন্যদিকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিও বটে। মধুর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ। যেহেতু মধু প্রাকৃতিক শর্করা, তাই চিনির বিকল্প হিসেবে অনেক বাড়িতেই মধু খাওয়ার রেওয়াজ আছে।
কেউ কেউ সর্দি-কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধু খান। তবে অনেকেই মনে করেন, গরমকালে বেশি মধু খেলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একান্ত জ্বর-সর্দি-কাশি কিংবা সংক্রমণজনিত কোনো সমস্যা না হলে গরমে মধু খাওয়া নাকি ভাল নয়। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, হালকা গরম পানিতে সারা বছর মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। জেনে নিন হালকা গরম পানিতে মধু খাওয়ার যেসব উপকারিতা।
হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার
– সামান্য গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে বিপাকক্রিয়া উন্নত হয়। বিপাক হার ভাল হলে শারীর বৃত্তীয় কাজগুলোও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
– গরমে যা-ই খাচ্ছেন হজমে গোলমাল হচ্ছে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খাবার খাওয়ার অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা আগে হালকা গরম পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে হজম ভাল হয়।
– সংক্রমণজনিত জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত মধু খেতে হবে। হালকা গরম পানিতে মধু দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হয়।
– শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বের হয়ে গেলে ত্বকও তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পায়। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, প্রদাহ কিংবা কোনো ক্ষত নিরাময় করতেও মধু বিশেষভাবে সাহায্য করে।
– শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতে সাহায্য করে মধু। প্রতিদিন সকালে সামান্য গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।