আমি মালালা বলছি
শরতের ভূমিকম্প
আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকতে অক্টোবরের এক সুন্দর দিনে আমাদের ডেস্কগুলো কাঁপতে থাকল। তখন আমরা ছেলেমেয়ে একসঙ্গেই ক্লাস করতাম এবং সবাই একসঙ্গে চিৎকার করে উঠলাম, ‘ভূমিকম্প’! আমাদের যেভাবে শেখানো হয়েছিল, সেভাবে দৌড়ে বাইরে গেলাম। আমরা শিক্ষকদের ঘিরে দাঁড়ালাম, যেভাবে মা মুরগির কাছে মুরগির বাচ্চারা ভিড় করে।
সোয়াত একটি ভৌগোলিক ফল্টলাইনের ওপর অবস্থিত এবং প্রায়ই ভূমিকম্প হতো, কিন্তু এটাকে অন্য রকম মনে হলো। আশপাশের সব বিল্ডিং মনে হলো কাঁপছে এবং গুড়গুড় শব্দটা থামছিল না। আমরা বেশির ভাগই কাঁদছিলাম এবং শিক্ষকরা প্রার্থনা করছিলেন। আমার প্রিয় শিক্ষিকাদের একজন মিস রুবি কান্না থামিয়ে শান্ত হতে বললেন। বললেন যে শিগগিরই সব থেমে যাবে।
কম্পন থামতেই আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হলো। আমরা দেখলাম, মা একটি চেয়ারে বসে কোরআন শরিফ পড়েই চলেছেন। কোনো সমস্যা দেখা দিলেই মানুষ অনেক প্রার্থনা করে। মা আমাদের দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন এবং অশ্রুস্নাত অবস্থায় আমাদের জড়িয়ে ধরলেন। কিন্তু সারা বিকেল ধরে ভূমিকম্প-পরবর্তী ধাক্কাগুলো আসতেই থাকল, তাই আমরা খুব ভয়ে ভয়ে থাকলাম।
আমরা আবার বাসাবদল করেছিলাম, আমার বয়স ১৩ হওয়ার আগেই আমরা সাতবার বাসা পাল্টেছিলাম এবং তখন আমরা অ্যাপার্টমেন্টে থাকছিলাম। মিঙ্গোরার হিসেবে সেটা খুব উঁচু ছিল। ছাদে বিরাট এক পানির ট্যাঙ্কসহ দোতলা। মা ভয় পাচ্ছিলেন যে, ওটা আমাদের ওপর পড়বে, তাই আমরা বাইরে বেরোতে থাকলাম। বাবা সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে পারলেন না, কারণ তিনি স্কুলের অন্যান্য ভবনের তদারকি করতে ব্যস্ত ছিলেন।
রাত হয়ে এলো, কিন্তু কম্পন তখনো আসছিল এবং মা খুবই ভয়ার্ত ছিলেন। প্রত্যেকবার ভূকম্পন অনুভব করছিলাম। আর ভাবছিলাম, এটাই শেষ বিচারের দিন। মা বললেন, ‘আমরা আমাদের বিছানাতেই কবরস্থান হয়ে পড়ব। মা চাইছিলেন, আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে যাই, কিন্তু বাবা খুবই ক্লান্ত ছিলেন এবং আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি যে নিয়তি স্রষ্টার হাতে। তাই বাবা আমাকে খুশালকে এবং ছোট্ট অতলকে বিছানায় শুইয়ে দিলেন।
‘তোমাদের যেখানে খুশি যাও’, তিনি আমার মা এবং জ্ঞাতিভাইকে বললেন, ‘আমি এখানেই থাকছি। তোমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করলে এখানেই থাকবে।’ আমার মনে হয়, কোনো বিরাট বিপর্যয় বা আমাদের জীবনে কোনো বিপদ নেমে এলে আমরা আমাদের পাপের কথা মনে করি এবং ভাবি আমরা কীভাবে স্রষ্টার সামনে হাজির হব, আমরা কি ক্ষমা পাব? কিন্তু আল্লাহ আমাদের ভুলে যাওয়ার শক্তিও দিয়েছেন, তাই বিপদ কেটে গেলে আমরা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাই। আমি বাবার বিশ্বাসটাকে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু মায়ের বাস্তবধর্মী উদ্বেগটাও অনুভব করতাম।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবরের ভূমিকম্পটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটায় পরিণত হলো। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প কাবুল ও দিল্লির মতো দূরবর্তী স্থানেও অনুভূত হয়েছিল। আমাদের মিঙ্গোরা বড় বাঁচা বেঁচেছিল মাত্র কয়েকটা বিল্ডিং ধসেছিল; কিন্তু প্রতিবেশী কাশ্মীর ও পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। এমনকি ইসলামাবাদেও ভবন ধ্বংস ঘটেছিল।
এটার ভয়াবহতা বুঝতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছিল। টিভি খবরে যখন ক্ষয়ক্ষতিগুলো দেখাতে লাগল, তখন দেখলাম সম্পূর্ণ গ্রাম ধূলিসাৎ হয়েছে। মাটিধসের কারণে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, সব ফোন এবং বিদ্যুতের লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। আমেরিকার কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যের মতো বিরাট এলাকা—৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পে। পরিসংখ্যান ছিল অবিশ্বাস্য। ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এক লাখ ২৮ হাজার আহত এবং তাদের অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে। সাড়ে তিন লাখের মতো মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছিলেন। রাস্তা, সেতু, পানি, বিদ্যুৎ সব বন্ধ। বালাকোটের মতো যেসব জায়গায় আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম, প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই আমার মতো সকালে স্কুলে যাওয়া বাচ্চা। ছয় হাজার ৪০০ স্কুল ধুলোয় মিশে যায় এবং ১৮ হাজার শিশু প্রাণ হারায়।
আমার মনে আছে, সেদিন সকালে আমরা কী পরিমাণ ভয় পেয়েছিলাম এবং অর্থ সংগ্রহ করা শুরু করেছিলাম। যে যা পারে এনেছিল। আমার বাবা তাঁর পরিচিত সবার কাছে খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থ চাইলেন এবং আমি কম্বল সংগ্রহ করতে মাকে সাহায্য করলাম। বাবা সোয়াত অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট স্কুলস এবং গ্লোবাল পিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আমাদের মোট সংগ্রহের সঙ্গে যোগ করলেন। সব মিলিয়ে ১০ লাখ রুপি হলো। আমাদের স্কুলের বই সরবরাহকারী লাহোরের একটি প্রকাশনা সংস্থা পাঁচ ট্রাক খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠাল।
শাংলার সরু পাহাড়গুলোর মধ্যে বাস করা আমাদের পরিবার নিয়ে আমরা ভীষণ চিন্তিত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা এক জ্ঞাতিভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেলাম। বাবার ছোট্ট গ্রামে আটজন লোক মারা গেছে এবং অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটা বাড়ি ছিল স্থানীয় ধর্মনেতা মাওলানা খাদিমের, যেটা তাঁর চারজন সুন্দরী মেয়েসহ ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। আমি বাবার সঙ্গে ট্রাকে করে শাংলা যেতে চাইলাম; কিন্তু বাবা বললেন, সেটা খুব বিপজ্জনক হবে।
কদিন পর বাবা যখন ফিরে এলেন, তাঁর মুখ তখন পাংশুটে তিনি আমাদের বললেন যে যাত্রার শেষটা খুব কঠিন হয়েছে। বেশির ভাগ রাস্তা নদীতে ধসে গেছে এবং বড় বড় মাটির ঢেলা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বাবা এবং তাঁর বন্ধুরা মনে করেছিলেন, এটাই পৃথিবীর শেষ। তাঁরা পাহাড় গড়িয়ে নেমে আসা পাথরখণ্ডের কথা বর্ণনা করলেন, কোরআন পড়তে পড়তে সবার দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার কথা বললেন। ছাদ ধসে পড়ার পর মানুষের চিৎকার, মহিষ ও ছাগলের চেঁচামেচির কথা বর্ণনা করলেন। কম্পনগুলো হতেই থাকলে তাঁদের সারা দিনই বাইরে কাটাতে হতো এবং রাতেও ভয়াবহ পাহাড়ি শীতের মধ্যে উষ্ণতার জন্য গাদাগাদি করে বাইরে থাকতে হতো।
শুরুতে তেহরিক-ই-নিফাজ-এ-শরিয়া-ই-মোহাম্মাদী (টিএনএসএম) নামের এক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী, একটি স্থানীয় বৈদেশিক অনুদান সংস্থার উদ্ধারকর্মী এবং মুভমেন্ট ফর দি এনফোর্সমেন্ট অব ইসলামিক ল (সুফি মোহাম্মদের সৃষ্ট দল, যেটা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে মানুষ পাঠিয়েছে)-এর লোকজনই ছিল। ২০০২ সালে মার্কিনিদের চাপে পড়ে মোশাররফ কিছু জঙ্গি নেতাকে ধরার সময় থেকেই সুফি মোহাম্মদ জেলে, কিন্তু তাঁর মেয়েজামাই মাওলানা ফজলুল্লাহ্ তাঁর সংগঠন চালু রেখেছে। শাংলার মতো স্থানে কর্তৃপক্ষের জন্য যাওয়া কঠিন ছিল, কারণ বেশির ভাগ রাস্তা, সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পুরো এলাকার স্থানীয় সরকার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা টিভিতে বলেছিলেন, এটা হলো ‘জাতিসংঘের দেখা সৈন্য চলাচলের সবচেয়ে কঠিন জায়গা।’
জেনারেল মোশাররফ এটাকে ‘জাতির জন্য পরীক্ষা’ নামে অভিহিত করলেন এবং ঘোষণা করলেন যে, সেনাবাহিনী অপারেশনের নামকরণ করতে পছন্দ করে। তাঁবু এবং অন্যান্য জিনিসে বোঝাই হেলিকপ্টারের ছবি সবখানে ছড়িয়ে পড়ল, কিন্তু অনেক ছোট ছোট উপত্যকায় হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে পারল না এবং ত্রাণের যেসব প্যাকেজ তাঁরা ওপর থেকে ফেলল, তার অনেকগুলোই চাল বেয়ে নদীতে গড়িয়ে পড়ল। কোনো কোনো স্থানে হেলিকপ্টার গেলেই স্থানীয়রা নিচে ভিড় জমাত, যার জন্য নিরাপদ ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু কিছু ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হলো। আফগানিস্তানে শত শত হেলিকপ্টার এবং সৈন্যদল থাকায় মার্কিনিরা দ্রুত এবং সহজেই ত্রাণ নিয়ে এসে দেখাতে পারল যে তারা দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, যদিও আক্রমণের ভয়ে কোনো কোনো হেলিকপ্টারের গায়ে মার্কিন চিহ্ন ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। অনেক দুর্গম এলাকায় মানুষ সেবারই প্রথম বিদেশি লোক দেখেছিল।
বেশির ভাগ স্বেচ্ছাসেবী এসেছিল ইসলামী দাতব্য সংস্থা থেকে; কিন্তু এদের কিছু কিছু ছিল জঙ্গি সংগঠনের ফ্রন্ট। সবচেয়ে বেশি দেখা গেল লস্কর-ই-তৈয়েবার ওয়েলফেয়ার উইং জামায়াত-উল-দাওয়া-কে। এলইটির সঙ্গে আইএসআইর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র ছিল এবং আইএসআইর দায়িত্ব ছিল কাশ্মীরকে মুক্ত করা। আমরা মনে করি, কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ভারতের বদলে এর উচিত পাকিস্তানের অংশ হওয়া। এলইটির নেতা হলেন হাফিজ সাঈদ নামের লাহোরের এক জাঁদরেল প্রফেসর। যিনি প্রায়ই টেলিভিশনে মানুষকে ভারত আক্রমণ করতে অনুরোধ জানান। যখন ভূমিকম্পটা হলো এবং সরকার খুব কমই সাহায্য করল, জেইউডি কালাশনিকভ এবং ওয়াকিটকি ওয়ালা মানুষ দ্বারা পর্যবেক্ষণকৃত ত্রাণশিবির স্থাপন করল। সবাই জানত এরা এলইটির লোক এবং শিগগিরই তাদের দুটো আড়াআড়ি তলোয়ার অঙ্কিত সাদাকালো ব্যানার পর্বত উপত্যকায় উড়ে বেড়াতে লাগল। আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরবাদ জেইউডি এক্সরে মেশিন, অপারেটিং থিয়েটার, সমৃদ্ধ ঔষধালয় এবং দাঁতের ডাক্তারসহ একটি বিরাট মাঠ হাসপাতাল স্থাপন করল। হাজার হাজার তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে ডাক্তার এবং শল্যচিকিৎসকরাও সেবা দিতে থাকলেন।
যেসব দুর্গম এলাকা নিয়ে কেউ মাথাব্যথা করত না, সেসব এলাকায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন উপত্যকা পেরিয়ে যাঁরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে গেছেন, পর্বত বেয়ে দীর্ঘ ক্লান্তির যাত্রা করেছেন যেসব কর্মী, তাঁদের প্রশংসা করেছিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা। তারা জানাজা এবং লাশ দাফনে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত গ্রামগুলো পরিষ্কার এবং পুনর্গঠন করতে সাহায্য করেছিল। এমনকি আজও যখন বেশির ভাগ বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা চলে গেছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত বিল্ডিং রাস্তার ধারে পড়ে আছে এবং মানুষ এখনো নতুন ঘর তোলার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাওয়ার আশায় বসে আছে, জেইউডির সাহায্যকারী এবং ব্যানারগুলো এখনো আছে। যুক্তরাজ্যে পড়তে যাওয়া আমার এক জ্ঞাতিভাই বলেছে যে, তারা সেখানকার মানুষের কাছ থেকে অনেক অর্থ সংগ্রহ করেছে। লোকজন পরে বলল যে এই অর্থের কিছু অংশ ব্রিটেন থেকে যুক্তরাজ্যে যাত্রা করা একটি বিমানে বোমা মারার পরিকল্পনার অর্থায়নের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল।
এত মানুষের মৃত্যুর কারণে ১১ হাজার শিশু এতিম হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সংস্কৃতিতে এতিম বাচ্চাদের দেখাশোনা করে আত্মীয়রা, কিন্তু ভূমিকম্পটা এতই ভয়াবহ ছিল যে সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংস বা সর্বহারা হয়ে গিয়েছিল, তাই বাচ্চাদের দায়িত্ব নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, রাষ্ট্র তাদের দায়িত্ব নেবে, কিন্তু সরকারের অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মতই এটিও অন্তঃসারশূন্য মনে হয়েছিল। বাবা শুনেছিলেন যে, জেইউডি অনেক ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় রাখছে। পাকিস্তানে মাদ্রাসা এক ধরনের কল্যাণব্যবস্থা কারণ বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু সাধারণ পাঠক্রম অনুযায়ী সেখানে পড়ানো হয় না। ছেলেরা দুলে দুলে কোরআন তিলাওয়াত করে, তারা শেখে যে বিজ্ঞান বা সাহিত্য বলে কিছু নেই, ডাইনোসর বলে কিছু ছিল না এবং মানুষ কখনো চাঁদে যায়নি। ভূমিকম্পের পর অনেক দিন সমগ্র জাতি বজ্রাহতের মতো ছিল। এমনিতেই এসব রাজনীতিবিদ এবং সামরিক স্বৈরশাসকদের নিয়ে আমাদের দুর্ভাগ্যের অন্ত ছিল না। এখন আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। টিএনএসএম থেকে মোল্লারা প্রচার করা শুরু করল, ভূমিকম্পটা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে সাবধানবাণী। আমরা যদি আমাদের চালচলন সংশোধন না করি এবং শরিয়ত বা ইসলামী আইন চালু না করি, তারা বজ্রকণ্ঠে চিৎকার করে উঠল, আরো ভয়াবহ শাস্তি আসবে।
(চলবে)