গরমে ত্বকের যত্নে ৮ আয়ুর্বেদিক উপাদান
গরমকালে বাইরে অতিরিক্ত তাপ থাকে। এ সময় আর্দ্রতা বেশি থাকে। পরিবেশও তুলনামূলকভাবে বেশি দূষিত হয়। এসব কারণে ত্বক দেখায় তৈলাক্ত। তাই এই ঋতুতে আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান। এ সব উপাদান ত্বক থেকে টক্সিন দূর করবে। আপনার ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করবে।
ডাঃ লক্ষ্মী ভার্মা কে, আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারী, হিন্দুস্তান টাইমসের লাইফস্টাইলের সাথে কিছু টিপস শেয়ার করেছেন। তিনি গরমকালে ত্বককে ডিটক্স করার জন্য সেরা কিছু আয়ুর্বেদিক খাবার এবং ভেষজ উপাদানের কথা বলেছেন
হলুদ
হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ খুবই শক্তিশালী ভেষজ উপাদান। ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। ত্বকের প্রদাহ কমায়। ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। তাই গরমে ত্বকে হলুদ লাগাতে পারেন। এতে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হবে।
নিম
নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গালের বৈশিষ্ট্য। ত্বককে ডিটক্সিফাই করার জন্য এটি একটি চমৎকার ভেষজ। নিম ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে। ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করে। ব্রণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে নিমের তেল বা নিম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
আমলকি
আমলকি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে সাহয্য করে। কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। তাই এই গরমে প্রতিদিন আমলকি খান। এ ছাড়া, ত্বকে আমলকির তেলও লাগাতে পারেন।
ত্রিফলা
ত্রিফলা হল আমলকি, বিভিটাকি এবং হরিতকির সংমিশ্রণ। এটি পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল। ত্রিফলার পাউডার বা ক্যাপসুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। নিয়মিত সেবনে উপকৃত হবেন।
ধনেপাতা
ধনেপাতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গরমে খাবারের সাথে ধনেপাতা যোগ করে খেতে পারেন। অথবা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের উন্নতি হবে।
নারিকেল পানি
নারিকেল পানি শরীরকে হাইড্রেট রাখে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। নারিকেলের পানি ত্বকে পুষ্টি জোগায়। নিয়মিত নারিকেল পানি পান করলে ত্বক ভেতর থেকে ডিটক্সিফাই হবে।
চন্দন
চন্দন ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক পরিষ্কার রাখে। ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। গরমের দিনগুলোতে চন্দন আর গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। এতে ত্বক থাকবে সতেজ
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা ত্বকে শীতল প্রভাব ফেলে। এটি ত্বককে হাইড্রেট করে। ত্বকের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে। ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। সূর্যের আলোতে পুড়ে যাওয়া ত্বককে সারিয়ে ফেলে।
মনে রাখবেন, নতুন আয়ুর্বেদিক পণ্য আপনার রুটিনে আনতে চাইলে একজন আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারীর সাথে পরামর্শ করুন। বিশেষ করে আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন। এ ছাড়াও, অ্যালার্জির পরীক্ষা করিয়ে নিন। এ জন্য ত্বকে সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে দেখুন। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ব্যবহার না করাই ভাল।
সুত্র- হিন্দুস্তান টাইমস