ঘি দিয়ে রূপচর্চা
প্রাচীনকাল থেকেই ঘি এই উপমহাদেশে শুধু রান্নার কাজে নয়, ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘি’তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, এ এবং কে রয়েছে। এই সব উপাদানই ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে ঘি অসাধারণভাবে কাজ করে।
ময়শ্চারাইজিং
ঘি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এতে উচ্চ মাত্রার ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়াও ঘি’তে রয়েছে স্কোয়ালিন নামক প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিড্যাট থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঘি লাগালে শুষ্কতা রোধ হয়। ত্বককে নরম এবং কোমল করে তোলে।
অল্প পরিমাণে ঘি নিয়ে মুখে লাগান। ম্যাসাজ করুন। এটি আপনি প্রতিদিন ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া, লিপবাব হিসেবেও ঠোঁটে লাগাতে পারবেন।
অ্যান্টি-এজিং
ভিটামিন এ কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি ত্বককে দৃঢ় এবং স্থিতিস্থাপক রাখে। ভিটামিন ডি অকাল বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তিনটি ভিটামিনই ঘিতে উপস্থিত রয়েছে। ঘি ত্বকে লাগালে বার্ধক্যর ছাপ চলে যায়। ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে।
জ্বালাপোড়া কমায়
জ্বালাপোড়া ত্বকের জন্য ঘি একটি চমৎকার প্রতিকার। এটিতে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঘিতে বিউটারিক অ্যাসিডও থাকে। যা একটি প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের কোষ নিরাময় করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঘি লাগালে লালভাব, প্রদাহ, এবং জ্বালাপোড়া কমে যায়।
চুলের যত্নে
নারিকের তেলের সাথে ঘি মিশিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করবে।
ঘি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। ঘি খেলে ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করবে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সামগ্রিক ত্বকের উন্নতি করতে পারে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া