প্রাকৃতিক ভাবে গোলাপি ঠোঁট পেতে পাঁচ পদক্ষেপ
আমরা নিজেদের যত্ন নিতে গিয়ে মুখ, হাত-পা, চুলের যত্নই নিই। কিন্তু অনেক সময় ঠোঁটের কথা ভুলে যাই। তবে মনে রাখবেন, ঠোঁট আপনার চারপাশের লোকদের মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। কথা বলার সময়, হাসার সময় আমরা ঠোঁটের ব্যবহার করি। তাই এর যত্ন নেওয়া জরুরি। ফাটা বা শুষ্ক ঠোঁট নিয়ে কথা বলতে আমাদের বেশ কষ্টও হয়। তাই আজ থেকেই ঠোঁটের দিকে মনোযোগ দিন।
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে শ্রীধা সিং, টিএসি - আয়ুর্বেদ কোম্পানির সিইও, হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, “জীবনযাত্রার ধরণ আপনার ঠোঁটের উপর প্রভাব ফেলবে। নিয়মিত ধূমপান, দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের সংস্পর্শ, হরমোনের পরিবর্তন, অ্যালার্জি, পোস্ট-ইনফ্ল্যামেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন এবং রাসায়নিক যুক্ত ঠোঁটের পণ্য ব্যবহারের ফলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তবে এটি প্রতিকারের কিছু উপায় রয়েছে। যা মেনে চললে আপনি স্বাস্থ্যকর ঠোঁট পাবেন”।
তিনি আরও জানান, “ভেষজ এবং প্রাকৃতিক উপাদানগুলো আয়ুর্বেদিক ঠোঁটের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য বিখ্যাত। ঠোঁটকে পুষ্ট এবং পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আয়ুর্বেদিক উপাদান বেশ কাজে দেয়। নারকেল তেল, জলপাই তেল, গোলাপ জল ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করে”। শ্রীধা ঠোঁটকে প্রাকৃতিক ভাবে গোলাপি করার ও স্বাস্থ্যকর রাখার কিছু টিপস শেয়ার করেছেন।
ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখুন
ঠোঁটের যত্নের অন্যতম মৌলিক পদক্ষেপ হল হাইড্রেশন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার ঠোঁটকে ভিতর থেকে আর্দ্র এবং কোমল রাখতে সহায়তা করে। ঠোঁট জিভ দিয়ে ভিজাবেন না। কারণ এটি শুষ্কতার কারণ। খাদ্যতালিকায় তরমুজ এবং শসার মতো পানি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এগুলো আপনার শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে। এমনকি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ঠোঁটকে মসৃণ করতে সহায়তা করতে পারে”।
এক্সফোলিয়েশন
এক্সফোলিয়েশন ঠোঁটের যত্নে অনেক উপকারি। সপ্তাহে দুইবার, ঠোঁটকে এক্সফোলিয়েট করুন। যা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলবে। এক চা চামচ নারকেল বা অলিভ অয়েলের সাথে বিটরুটের টুকরো মিশিয়ে নিন। এর সাথে কিছু চিনিও যোগ করুন। একটি নরম টুথব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে বিটরুটের মিশ্রণটি আলতো করে ম্যাসাজ করুন। তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ঠোঁট থাকবে মসৃণ।
সূর্যের আলো থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করুন
সূর্যের আলো ঠোঁটের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঠোঁটে কম মেলানিন থাকে। তাই সহজেই রোদে পুড়ে যায়। এ জন্য এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট কঠোর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে।
লিপ মাস্ক
লিপ মাস্ক ঠোঁটে পুষ্টি জোগায়। তাদের হাইড্রেট রাখে। লিপ মাস্ক বানানোর জন্য ডালিমের বীজ পিষে নিন। এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আপনার ঠোঁটে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপী হবে।
প্রসাধনী পণ্যের ব্যবহার
ঠোঁটে লিপস্টিক এবং লিপগ্লস লাগানোর আগে কিছু সুরক্ষা ব্যবহার করুন। এ সব উপাদান লাগানোর আগে ভেষজ লিপ বাম, সিরাম, নারকেল তেল, জলপাই তেল লাগিয়ে নিন। এতে রাসায়নিক যুক্ত পণ্যগুলোর অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব থেকে আপনার ঠোঁট রক্ষা পাবে।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস