যে পাঁচ উপন্যাস জীবনে একবার পড়া উচিত
বই মানুষের শ্রেষ্ঠ উপহার। বাস্তব জগৎ থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য ভাল উপন্যাসের কোনো বিকল্প নাই। এ সব উপন্যাসে আশা, ভালবাসা এবং সুখ বিরাজ করে। উপন্যাসের প্রতিটি পৃষ্ঠা থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাই। বই আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করার অসাধারণ ক্ষমতা রাখে। আমাদের নতুন করে আশাবাদী হতে শেখায়। একটি উষ্ণ অনুভূতি দেয়। যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। জীবনে আপনার এমন কয়েকটি বই পড়া উচিত যেগুলোর অনুভূতি থাকবে দীর্ঘ সময় ধরে।
টম হ্যাঙ্কসের ‘দ্য মেকিং অব আদার মেজর মোশন পিকচার মাস্টারপিস: এ নভেল’
একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস বইটি লিখেছেন। কমিক বই থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে তিনি এটি লিখেছিলেন। মার্ভেল-অনুপ্রাণিত সুপারহিরো, যুদ্ধকালীন নাটক এবং শৈল্পিক মেলোড্রামার অসাধারণ সংমিশ্রণ রয়েছে এই উপন্যাসে। গল্পটি পাঠকদের একটি কল্পিত রাজ্যে নিয়ে যায়। গল্পটি দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথমটি ১৯৪৭ সাল নিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন সৈনিক এবং তার পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নেকে নিয়ে গল্প। দ্বিতীয় গল্পটি ২৩ বছর এগিয়ে, ১৯৭০ সাল থেকে শুরু হয়। এ সময় ভাগ্নে তার চাচার সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে। ছোটবেলায় টম হ্যাঙ্কস কমিক বইয়ের যে ঝলক দেখেছিলেন তার স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন এই বইয়ে।
অ্যামি লিয়ার ‘এক্সেস অ্যান্ড ও'স’
এটি একটি রোমান্টিক কমেডি উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম তারা চেন। তিনি সত্যিকারের প্রেমের সন্ধানের জন্য দশ জন পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়ান। আর দশবারই তিনি ধোঁকা খান। তারপরও তারা তার স্বপ্নের পুরুষ খোঁজার চেষ্টায় অবিচল থাকেন। এই উপন্যাসে আধুনিক ডেটিং এর ল্যান্ডস্কেপ দেখানো হয়েছে। এই যুগের ডেটিং অ্যাপগুলো মানুষকে বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত করছে তাই বোঝান হয়েছে।
এলিজাবেথ ম্যাকেঞ্জির ‘দ্য ডগ অব দ্য নর্থ’
মনোমুগ্ধকর এই উপন্যাসে, পেনি রাশ নামে এক মহিলার সাথে আপনার পরিচয় হবে। যিনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করেন। তার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। তিনি তার চাকরিও ছেড়ে দেন। তার মা এবং সৎ বাবা পাঁচ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান। অন্যদিকে, তার মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা ক্রমাগত অশান্তি সৃষ্টি করে। এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভেঙ্গে পড়েন না। নতুন করে জীবন শুরু করার উপায় অনুসন্ধান করেন।
এমিলি হেনরির ‘হ্যাপি প্লেস’
‘হ্যাপি প্লেস’ ছয় বন্ধুকে নিয়ে একটি গল্প। তাদের মাঝে প্রাক্তন দম্পতিও রয়েছে। উইন কনর এবং হ্যারিয়েট কিলপ্যাট্রিক। এক সময় তারা সেরা দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে তারা তাদের বিচ্ছেদের ব্যাপারটি পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন। তবে নানা কারণে তাদের এক সাথে থাকতে হয়। যা তাদের জন্য একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
সায়ন্তনী দাশগুপ্তের 'রোজউড: এ মিডসামার মিট কিউট'
সায়ন্তনী দাশগুপ্ত তার এই উপন্যাসে ইলা দাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। যিনি তার আবেগের চেয়ে তার বুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়। এক সময় তার জীবনে রাহুল নামে এক পুরুষ আসে। হঠাৎ করে, ইলা নিজের মাঝে আবেগের একটি ঝড় অনুভব করেন। এটিতে সে অভ্যস্ত নয়। তার মাঝে দেখা দেয় নানা রকম দ্বিধা। তার যৌক্তিক মন, হৃদয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে কিনা তা জানতে আপনাকে এই বইটি পড়তে হবে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া