ত্বকের ধরনের অনুযায়ী মেকআপ নির্বাচন
মেকআপ নির্বাচনের আগে ত্বকের ধরন বুঝে নিন। তা না হলে যতই অভিজ্ঞ হোন না কেন, মেকআপ ঠিক মত বসবে না। প্রতিটি ত্বকের ধরন আলাদা। সেই অনুযায়ী মেকআপ সেট করে নিতে হয়। এতে আপনার মেকআপ দীর্ঘক্ষণ থাকবে। আপনার মাঝে আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই তেল-মুক্ত মেকআপ নির্বাচন করুন। ম্যাটিফাইং ফাউন্ডেশন এবং প্রাইমারগুলোর সন্ধান করুন। তৈলাক্ত ত্বক থেকে তেল বের হওয়ায় মেকআপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ জন্য পাউডার-ভিত্তিক ব্লাশ এবং আইশ্যাডো বেছে নিন। সারা দিন তৈলাক্ততার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দীর্ঘস্থায়ী এবং জল-প্রতিরোধী পণ্যগুলো কিনুন।
শুষ্ক ত্বক
এ ধরণের ত্বকের শুষ্কতা রোধ করতে তরল ফাউন্ডেশন, বেস হিসেবে ব্যবহার করুন। ক্রিমি ব্লাশন বেছে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে হাইড্রেটিং এবং ময়েশ্চারাইজিং পণ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। মসৃণ বেস তৈরি করতে হাইড্রেটিং প্রাইমার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে মেকআপ আটকে থাকবে। পাউডার-ভিত্তিক পণ্যগুলো এড়িয়ে চলুন।
মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বকে সাধারণত টি-জোন থেকে তেল ছড়ায়। তাই এ সব অঞ্চলে ম্যাটিফাইং প্রাইমার ব্যবহার করুন। বাকি অংশে হাইড্রেটিং প্রাইমার ব্যবহার করুন। বিভিন্ন ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করুন। তৈলাক্ত অঞ্চলে ম্যাট এবং শুষ্ক অঞ্চলে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
মেকআপ করার আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিবেন। ত্বকের ধরণের সাথে মানানসই একটি প্রাইমার প্রয়োগ করুন। ফাউন্ডেশন দেওয়ার সময় ব্রাশ, স্পঞ্জ বা আপনার আঙ্গুলের ব্যবহার করুন। কনসিলার দিয়ে দাগ এবং চোখের নীচের বৃত্তগুলো লুকিয়ে রাখুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টি-জোনে ফোকাস করুন। পাউডার দিয়ে আপনার বেস সেট করুন। ত্বকের টোন এবং পোশাকের সাথে মিল রেখে আইশ্যাডো নির্বাচন করুন। চোখকে আইলাইনার দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। মাস্কারা দিয়ে শেষ করুন। ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিন। এরপর লিপ লাইনার লাগান। মানানসই লিপস্টিক প্রয়োগ করুন।
সূত্র- বোল্ডস্কাই