গোসল করার সঠিক সময় জানেন?
গোসল আমাদের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীর থেকে ময়লা, ঘাম এবং টক্সিন অপসারণ করে। গোসলের মাধ্যমে মন পুনরুজ্জীবিত হয়। স্ট্রেস মোকাবেল করা সহজ হয়। পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করার জন্য প্রতিদিন গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে গোসল কখন ও কীভাবে করছেন তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। এটি আমাদের শক্তির স্তর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, গোসল করার সময় পানির সঠিক তাপমাত্রাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন ঔষধি রীতিতে, অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য গোসলের আগে উষ্ণ ভেষজ যুক্ত তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ, ডাঃ নীতিকা কোহলি, সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত গোসলের টিপস শেয়ার করেছেন। যা শরীর এবং আত্মাকে চাঙ্গা করে। তিনি খাওয়ার সাথে সাথে গোসল না করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন।
গোসলের সেরা সময়
ডাঃ কোহলি দিনে দুইবার গোসল করার পরামর্শ দেন। একবার সূর্যোদয়ের আগে, দাঁত পরিষ্কার করার পরে। অন্যটি, সূর্যাস্তের সময়। এ সময় তিনি হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করার পরামর্শ দেন। এতে স্ট্রেস কমে। পেশী এবং স্নায়ুকে শিথিল করে। এটি আপনাকে রাতে ঘুমিয়ে পড়তেও সহায়তা করবে।
পানির ব্যবহার
একটি আয়ুর্বেদিক পাঠ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এটি আপনার শরীর এবং আত্মা পরিষ্কার রাখবে। নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি ব্যবহার করুন।
তেল ম্যাসেজ
গোসলের আগে একটি তেল ম্যাসেজ করুন। এ ক্ষেত্রে, তিলের তেল খুবই উপকারি। তবে আপনি নারকেল তেল বা বাদাম তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
ভেষজ গুঁড়োর ব্যবহার
তেল ম্যাসাজের পরে, পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে আপনার শরীরে ভেষজ গুঁড়োর ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে শরীরে ঘষুন। বেসন, মুগ ডাল, হলু্দ, গোলাপের পাপড়ি, চন্দন, নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
পানির তাপমাত্রা
গোসলের সময় হালকা গরম পানির ব্যবহার করুন। তবে চুল ধুতে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। চোখেও ঠাণ্ডা পানির ছিটা দিন। এতে আপনি সতেজ থাকবেন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস