ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করুন ৭ উপায়ে
শুধু যে শীতের সময়ই ঠোঁট ফাটে, এটা ভুল ধারণা। গরমেও আপনার ঠোঁট ফাটতে পারে, যদি শুষ্ক ঠোঁট হয়। এ ক্ষেত্রে সাতটি উপায় রয়েছে, যা আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলো কালচে দাগ দূর করে ঠোঁট উজ্জ্বল করে। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে এই সাতটি উপায়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একনজরে দেখে নিতে পারেন।
নারকেল তেল
ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে নারকেল তেল খুব কাজে দেয়। নারকেল তেলে আর্দ্রতা ধরে রাখার উপাদান রয়েছে, যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি ঠোঁট নরম ও মসৃণ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ফাটা ঠোঁটের সমস্যা সমাধান করে।
মধু
মধু ঠোঁটের শুষ্কতা নিরাময়ে সাহায্য করে। ঠোঁটে সরাসরি মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক এই উপাদান ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
ঘি
ঘি সবচেয়ে সহজ উপায়ে দ্রুত ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। একদিন চার ঘণ্টা পরপর কয়েকবার ঠোঁটে ঘি ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতিতে অনেক দ্রুত শুষ্ক ঠোঁট নরম হবে। এ ছাড়া ঠোঁটের কালচে দাগও দূর হবে।
চিনির স্ক্রাব
মরা কোষের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে চিনির স্ক্রাব আপনাকে সাহায্য করবে। মধুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে হালকা করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। সপ্তাহে অন্তত একদিন ঠোঁটে স্ক্রাবিং করুন।
দুধ
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুধ খুবই উপকারী। প্রতিদিন ঠোঁটে দুধ ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পদ্ধতিতে ঠোঁটের যত্ন নিলে ঠোঁট নরম ও উজ্জ্বল হবে।
গ্লিসারিন
প্রতিদিন গ্লিসারিন লাগালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কখনোই হবে না। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন দিয়ে ম্যাসাজ করে ঘুমান। সকালে নিজেই এর ফলাফল দেখতে পারবেন।
মিল্ক ক্রিম
মিল্ক ক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে, যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। আপনার ঠোঁট যদি অতিরিক্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়, তাহলে নিয়ম করে মিল্ক ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট নরম হওয়ার পাশাপাশি উজ্জ্বলও হবে।