নতুন বছরে যা করবেন
আসছে নতুন বছর। নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা। পুরোনো ভুল-ত্রুটি, দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরের সূচনা করতে হয়। জীবন বদলাতে নতুন বছর উপলক্ষে নতুন কী কী অঙ্গীকার করতে পারেন তা জানিয়েছে রিডার্স ডাইজেস্ট। একনজরে দেখে নিন কী সেগুলো।
১. সফলতা অর্জনের জন্য নিজেকে তৈরি করুন
বিভিন্ন কারণে চলতি বছর হয়তো আপনার কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জিত হয়নি। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছর নতুন করে নিজেকে গড়ে তুলুন। পরিবার, বন্ধুসহ সবার সহযোগিতা নিয়ে জীবনকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দিন।
২. ইতিবাচক সকাল
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এসব হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার। এসব অভ্যাস আপনার শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখবে।
৩. ফ্রিজ খাদ্যে পরিপূর্ণ রাখুন
সতেজ শাক-সবজি, ফলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার যথাসম্ভব ফ্রিজে পূর্ণ রাখুন। বাইরের খাবার খাওয়ার চেয়ে এসব খাবার খেলে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ হবে।
৪. নিজের জন্য সময় দিন
বাগান করা, রান্না করা, ছবি আঁকা, বই পড়া এসব শখের অভ্যাস যদি আপনার থাকে সে কাজের জন্য সময় দিন। কাজে ব্যস্ত থাকা এবং পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট পন্থা এটা।
৫. ভ্রমণ করা
নতুন স্থান ও মানুষের সঙ্গে পরিচয় এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের নিমিত্তে ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন; যা আপনাকে একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে মনকে প্রফুল্ল রাখবে।
৬. সঞ্চয় করা
অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা পরিহার করে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখা হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার।
৭. বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখুন
বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শেখা সৃজনশীল কাজ। এই কাজের জন্য ধৈর্য, সৃজনশীল চিন্তা, অধ্যবসায় প্রয়োজন। এসব কিছুই আপনার ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের জন্য মঙ্গলজনক।
৮. নিজেকে সুস্থ এবং সতেজ রাখার অঙ্গীকার করুন
সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। অনেকে জিমে যোগ দিলেও সপ্তাহে একদিন জিমে যায়। এই অভ্যাস ত্যাগ করে সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত জিমে যাওয়ার অঙ্গীকার করুন।
৯. সন্তানকে ভালোবাসুন এবং সময় দিন
মা-বাবার সন্তানের কাজের ওপর সন্দেহ করা উচিত নয়। সন্তান ভালো কোনো কাজ করলে উৎসাহ দেওয়া উচিত। শৈশবকাল শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বৃদ্ধির সময়। তাই নতুন বছর সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন।