নতুন বছরে শুরু করুন সাত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
শুরু হলো একটি নতুন বছর। নতুন বছরে প্রায় সবারই চাওয়া থাকে সুস্থ ও সুন্দর জীবনের। এই সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা, ওজন কমানো, নতুন বছরের জন্য খুব প্রচলিত সমাধান হতে পারে। তবে এগুলোর ঝক্কি কম নয়। ওজন কমানো আর সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কী আর মুখের কথা!
তাই নতুন বছরে পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য কিছু সহজ সমাধান। প্রতিদিন এগুলো পালনের চেষ্টা করলে বেশ লাভবানই হবেন আপনি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথগ্রেড বাতলে দিয়েছে এই সমাধানগুলোর কথা।
মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে থাকুন
টানা বসে থাকা ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর। মায়োক্লিনিকের এক গবেষণায় বলা হয়, টানা বসে থাকা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ওজনাধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে। যদি আপনার টানা বসে থাকার কাজ হয়, অন্তত ৪৫ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান, একটু হাঁটাচলা করুন।
নড়াচড়া করুন
বয়স ৩০ হোক বা ৬০ বছর, ব্যায়াম শুরু করার সময় কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শরীরকে সচল রাখুন। একটু হেঁটে আপনার প্রতিবেশীর বাড়ি থেকেই ঘুরে আসুন বা একটু বাজার করতেই চলে যান। এগুলো আপনাকে সচল রাখতে সাহায্য করবে। আবার যোগব্যায়াম, বক্সিং বা জিম ক্লাসেও ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।
মাছ খান
খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ভেজে খাওয়ার থেকে চেষ্টা করুন বেকড করে খেতে। বিশেষ করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খান।যেমন : টুনা, সারদিন, স্যালমন ইত্যাদি।
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
কোমল পানীয়তে বেশি পরিমাণ চিনি মেশানো হয়,যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া কোমল পানীয় কিডনির কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।
নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন
আপনি কী ধরনের ওষুধপত্র খাচ্ছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। যদি কোনো ওষুধ ভালোভাবে কাজ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের কাছে বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। যদি নতুন কোনো অভ্যাস শুরু করতে চান, হাঁটা বা দৌঁড়ানো এমন-তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলেই শুরু করুন। নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন।
নিজেকে একটু বিরতি দিন
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মানে এই নয় যে একেবারে পছন্দের খাবারগুলো জীবন থেকেই বাদ দিয়ে দেবেন। পছন্দের খাবারগুলো মাঝেমধ্য খান, তবে পরিমিত। এটি আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট দৌঁড়ান
প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট দৌঁড়ানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।এই উপকার পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক দ্রুত বা অনেক জোড়ে দৌঁড়াতে হবে না। তবে কোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান
ঘুম কম হলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, ওজন বাড়ায়। যখন আমরা ঘুমাই শরীর পুনরায় কাজ করার শক্তি পায়। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান।