কেন আপনি অসুখী? জেনে নিন ৬ কারণ
জীবনের যান্ত্রিকতার কারণে অনেকেই আমরা বিষণ্ণতায় ডুবে যাই, হাসতে ভুলে যাই। তখন পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী মানুষ মনে হয় নিজেকে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কেন আপনি অসুখী? কোন কারণগুলো আপনার জীবনের সুখ কেড়ে নিচ্ছে? খুবই ছোট ছোট কিছু বিষয় থাকে, যা জীবনের সুখময় অনুভূতিগুলোকে এক নিমেষেই বিলীন করে দেয়। অথচ আমরা চাইলেই এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারি।
কোন জিনিসগুলো আপনাকে অসুখী করছে এবং সেগুলো কীভাবে এড়িয়ে চলবেন, সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে।
অতীতের ভুলগুলো ধরে রাখা
অতীতের ভুল থেকে মানুষ ভবিষ্যতের শিক্ষা নেয়। কিন্তু আপনি যদি পুরোনো অতীতকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকেন, তাহলে কখনোই সুখী হতে পারবেন না। তাই অতীতের কথা চিন্তা না করে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
আর্থিক ঋণ
অর্থনৈতিকভাবে কেউ যদি ঋণী থাকে, তাহলে সব সময়ই তার মধ্যে হতাশা কাজ করবে। তাই যতটুকু আয় করবেন, ততটুকুই ব্যয় করার চেষ্টা করুন, যাতে আপনাকে ঋণী হতে না হয়। দেখবেন, অল্প টাকাতেই বেশি সুখী থাকবেন।
নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা
পৃথিবীতে প্রত্যেকেই আলাদা। তাই অন্যকে দেখে নিজেকে নিয়ে আফসোস করার কিছু নেই। আপনাকে দেখেও হয়তো অন্য কেউ আফসোস করছে। তাই নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে আপনি তার থেকে ভালো আছেন—এই চিন্তা করুন। দেখবেন, হতাশা একেবারই কেটে যাবে।
ঝামেলাপূর্ণ সম্পর্ক
অনেক সময় সম্পর্কের ঝামেলার কারণে আমরা অসুখী থাকি। এ ক্ষেত্রে সম্পর্কের টানাপড়েন নিজেরা ঠিক করার চেষ্টা করুন। একান্ত না হলে বিচ্ছেদ করাই ভালো। অযথা এমন সম্পর্কে জড়িয়ে অসুখী হওয়ার কোনো মানে নেই।
নেতিবাচক চিন্তা করা
মনে মনে নেতিবাচক চিন্তা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। নিজের সঙ্গে সৎ থাকার চেষ্টা করুন। সব সময়ই ভালো চিন্তা করুন। দেখবেন, জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
অপছন্দের চাকরি করা
চাকরি যদি কারো মনমতো না হয়, তাহলে সে কখনোই সুখী হতে পারবে না। কারণ, দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাকে অফিসে কাটাতে হয়। আর এই সময়টাতে যদি সে বিষণ্ণ, হতাশ এবং রাগান্বিত থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেও সে বিষণ্ণতায় ভুগবে। তাই এমন চাকরি বাছাই করুন, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন।