সুন্নতে খতনা কখন করা উচিত?
অনেক মা-বাবা মনে করেন, অল্প বয়সে সুন্নতে খতনা করা উচিত। আবার অনেকে মনে করেন, একটু সময় নিয়ে সাত থেকে আট বছর বয়সে করা উচিত। এ বিষয়ে আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে কথা বলেছেন রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুহুল আমিন হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. রুহুল আমিন হাসান বলেন, খতনা কালচারাল, নট ফর অল—সবার জন্য নয়। মুসলিম কমিউনিটি করে, ইহুদিরা করে, অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীও করে। মেইনলি হচ্ছে কালচারাল, কে কোন বয়সে করতে চান। বয়সটা ইমপরটেন্ট। আপনি যদি মিডল ইস্টে যান, যেখান থেকে খতনার শুরু, আমাদের প্রফেট হযরত ইব্রাহিম (আ.) শুরু করেন। কিন্তু উনি নিজেই খতনা করেন ৮০ বছর বয়সে। সেটা কালচারাল। জন্মের পর ফার্স্ট উইক, সেকেন্ড উইক, থার্ড উইক। এ রকম বয়সে করে দেবে। কিন্তু আমরা যখন এখানে করি, এখানে সেই সুযোগটা নেই। আমরা এটা চিন্তা করতে পারব না। ইহুদিরা জন্মের প্রথম দিনই করে দেয়, দ্বিতীয় দিন করে দেয়। আমরা তা করতে পারব না। আমাদের একটা সময় দিতে হবে। সময় দিতে গেলে আমি যেটা করি, সারা দুনিয়াতে সবাই যেটা বলছেন, আগে মনে করা হতো নবজাতক ব্যথা বুঝতে পারে না। এটা ভুল তথ্য। ওদের নিউরোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট পেইন সেনসেশনের জন্য হয়ে যায়। তাহলে পেইন সেনসেশন যদি মাথায় থাকে, আমি বলব কোনও কারণ যদি না থাকে, জোরাজুরি না করে, কালচারাল বিষয় তো, না করানোই বেস্ট। একটা নির্দিষ্ট বয়সে করা উচিত।
সুন্নতে খতনা কখন করা উচিত, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।