কক্সবাজারে পর্যটককে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় হোটেল ব্যবস্থাপক আটক
কক্সবাজারে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে জিন্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনকেও জিজ্ঞাজাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল রাতেই একটি হোটেল থেকে ভুক্তভোগী ওই পর্যটক নারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ওই নারী স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। গতকাল সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এক মার্কেটের ভিড়ের মাঝে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধাক্কা লাগে স্বামীর। এ সময় তাদের কাছে ক্ষমা চান এই দম্পতি। কিন্তু পূর্বপরিকল্পনা মতো কৌশলে এক পর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কি করে স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ও সন্তানকে আলাদা করে ফেলে এ চক্রটি।
পরে ভিকটিম নারীকে ছুরিকাঘাত এবং স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শহরের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তিনজনে ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে একটি হোটেলে নিয়ে যায় একজন। সেখানেও আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে বাইরে থেকে দরজাবন্ধ করে চলে যায় দুর্বৃত্ত। পরে ওই নারী জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। তখন পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৬টা-৭টার দিকে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে হোটেলে নিয়ে আসছে ৯টা-১০টার দিকে। হোটেল এসে আমি যাতে চিৎকার না করি, সেজন্য তারা আমাকে এই হুমকি দিয়েছে।’
র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’