মুক্তিপণ না পেয়ে রুহুলকে হত্যা, বেড়িবাঁধে লাশ উদ্ধার
নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তি রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে গত রোববার রাতে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর চাচা দারুস সালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরবর্তীতে একটি মুঠোফোন থেকে নুরুল আমিনের চাচার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। টাকা না দিয়ে চাচা দারুস সালাম থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলার পর ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের জোনাল টিম।
তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে তদন্তকারী দল। পরিপ্রেক্ষিতে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর দারুস সালাম, মিরপুর মডেল ও শাহআলী থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও ইয়ামিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জহুরাবাদের বেড়িবাঁধ থেকে মঙ্গলবার সকালে রুহুল আমিনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনের কাছে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয় রুহুল আমিনকে। কিন্তু মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গ্রেপ্তারকৃতরা। পরে বস্তাবন্দি অবস্থায় জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে রুহুল আমিনের লাশ ফেলে দেয় তারা।’
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এডিসি সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা ভুক্তভোগী রুহুল আমিনের পূর্ব পরিচিত। তারা দারুস সালাম থানার জহুরাবাদের ইমরানের ভাড়া বাসায় রুহুল আমিনকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণ না পেলে পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ভুক্তভোগীর লাশ বস্তাবন্দি করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।’
এদিকে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে, প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তারা স্বীকার করে নিয়েছেন।’