বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ
বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিয়োগ না পাওয়া ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এ নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ‘এই ৮৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা না থাকলে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, ‘৩৬তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১০ জন, ৩৭তম ৩৮ জন ও ৩৯তম তে ৩৬ জন। সব মিলিয়ে ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছেন। আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’
রিটকারীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া আরও জানান, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএস, ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে রিটকারীরা আবেদন করেন। তারা লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পিএসসি ৩৭তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিট পিটিশনারসহ ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হন।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিলে ৩৯তম বিসিএসে চার হাজার ৭৯২ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। সে সময় ৩৬ জন রিটকারীসহ ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হন।
বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি অভিযোগে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।