রুমিন ফারহানাসহ বিএনপি নেতারা বিকল্প স্থানে সমাবেশে
আড়াই ঘণ্টা পর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রুমিন ফারহানার গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জ টোল প্লাজায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়ি অবরোধ করে রাখে পুলিশ। প্রায় ৪০ মিনিট টোলপ্লাজায় অবরোধের পর পুলিশ পাহাড়ায় তাঁকে পরে আশুগঞ্জের হোটেল উজানভাটিতে নিয়ে আসে। হোটেল উজানভাটিতে সিঁড়ির কাছে গাড়িতে বসে থাকেন ব্যারিস্টার তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে তাঁকেও অবরোধ করে পুলিশ। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকেও পুলিশ হোটেল উজানভাটিতে নিয়ে অবরোধ করে রাখে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ আরও অনেক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হোটেল উজাভাটিতে দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশ অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে বেলা আড়াইটায় সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, সবশেষে বিএনপির সমাবেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাইরে সদর উপজেলার নাটাই বটতলী মাঠে করার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। বিকল্প স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পর পুলিশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানসহ নেতাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। পরে বেলা আড়াইটায় তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যেতে দেয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায় কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমদ চৌধুরী বলেন সরকারে গণতন্ত্রের নমুনা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিকে সমাবশে করতে দেবে না। কারণ সরকার জনগণকে ভয় পায়।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। আট্কৃত সব বিএনপির নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
এর আগে রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাওয়ার পথে ভৈরব টোল প্লাজায় তাঁকে এক ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। অনেক কথা-কাটাকাটির পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (ভৈরব-আশুগঞ্জ সড়ক সেতু) দিয়ে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার দিকে রওনা হন। পরে আশুগঞ্জে সেতুর ওপরই পুলিশ আবার তাঁকে আটক করে। মূলত পুলিশ তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেতে দিচ্ছে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্ত তাঁদের কেউ কোনো সাড়া দেননি। আমার জেলায় আমি যাব। এটা আমার অধিকার। আমাকে কোন আইনে পুলিশ আটক করে? পুলিশের কোনো অধিকার নেই আমাকে আটক করার। পুলিশ আমাকে বেষ্টনী দিয়ে আশুগঞ্জের উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে গেছে। আমি এখান থেকে সংবাদ সম্মেলন করব।’