নাসিক নির্বাচন : করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে গণসংযোগ
দুদিন বাদে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচার ও গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে, মানা হচ্ছে না করোনা প্রতিরোধে জারি করা সরকারি বিধিনিষেধ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নগরীর কেল্লার পুল এলাকার ড্রেজার কলোনি থেকে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। আর, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজ এলাকা দেওভোগ চুনকা কুটির থেকে গণসংযোগে নামেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করছেন আইভী।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ নগরী এখন ভোট-লড়াইয়ে উৎসবমুখর। এলাকার মোড়ে মোড়ে চলছে নির্বাচনি আলোচনা। বাস, ট্রেনের যাত্রীদের মুখে-মুখে প্রার্থীদের নিয়ে চলছে সমালোচনাও। চায়ের দোকানে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বইছে নির্বাচনি ঝড়। তবে বুঝেশুনে ভোট দেবেন বলছেন নগরবাসী। জনগণের জন্য নগরের উন্নয়নের জন্য যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করেই মেয়র নির্বাচন করবেন তাঁরা।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে লেভেলড প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেছেন পুলিশ সুপার। উনার বক্তব্যের সঙ্গে যদি কাজের মিল থাকত, তবে খুশি হতাম।’ স্বতন্ত্র এ মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন—গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁর নেতাকর্মী ও পোলিং এজেন্টদের হয়রানি করা হচ্ছে। ‘পুলিশ নির্বাচনের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৭ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এদিকে, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তাঁর নিজ এলাকা দেওভোগে গণসংযোগ শুরু করলে ভক্তদের ছিটানো ফুলের পাপড়িতে সিক্ত হন। তিনি তৈমূর আলমের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন, ‘প্রশাসন কখনোই আমার হাতের মুঠোয় ছিল না। আমি কখনও প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় নেওয়ার চেষ্টাও করিনি।’ ‘পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে।’ বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমি কখনও বাড়তি সুবিধা পাইনি। বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না।’ ‘প্রশাসন অত্যন্ত সচেতন’ উল্লেখ করে ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটারেরা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যাবে।’