বিএনপির এমপি হারুনের বক্তব্যে সংসদে উত্তেজনা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন তুলনামূলক কম বিতর্কিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। আজ সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।
হারুনুর রশিদ বলেন, গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুলনামূলক কম হয়েছে। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনগুলোও হয়েছে। আমি গত অধিবেশনে আবেদন করেছিলাম। অন্ততপক্ষে আমার জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, এটার নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম।
হারুন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ৫০ জন সাংবাদিকের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই দিন কোনো নির্বাচন হয়নি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। সেখানে ব্যাজ লাগানো, কেউ বলে ইভিএম মনিটর, কেউ টেকনিশিয়ান। আমি তার (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, উনিও জানতে চেয়েছিলেন গোপন কক্ষেও লোক?
নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ ও উৎসাহ একেবারেই নেই জানিয়ে বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারের তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে সুস্পষ্ট বলেছিলেন দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। এটা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছিলেন। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে অসদুপায় অবলম্বন করা। আপনি অসদুপায় অবলম্বন করে নির্বাচন করেন। অসদুপায় অবলম্বন করে নিয়োগ পান কিংবা যেকোনো জায়গায় কর্ম বাস্তবায়ন করেন। এটা আমাদের ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সময় সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হারুন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না, প্লিজ। এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।
হারুন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব, আমার নির্বাচনী এলাকায় যে পৌর নির্বাচন হয়েছে, তার যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না? এটা আমার দাবি। তাহলে কেন আমরা সংসদে থাকব? আমি আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাচ্ছি এই কারণে, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক পরিবহণমন্ত্রী, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছিল। তারপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এই সময় স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দেন।