শাবিপ্রবি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে শিক্ষার্থীদের চিঠি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবর খোলা চিঠি পাঠ করেছেন শিক্ষার্থীরা। চিঠির জবাবের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। সংঘর্ষে আহত হওয়ায় এবং টানা আন্দোলনে অসুস্থ-ক্লান্ত হওয়ায় অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া হলে খাবারের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বাইরে অবস্থানের কারণে ঘোষিত সময়ের পরে আন্দোলন শুরু করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহনের ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া এক বিবৃতির মাধ্যমে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমস্যা সমাধানে কার্যত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনিও কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।
গত রোববার বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহার, অব্যবস্থাপনা দূরসহ তিন দফা দাবিতে চলা আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ধাওয়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপাচার্যকে উদ্ধারে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে আন্দোলনকারীদের। এ সময় গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের আহত করার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে আবারও আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও আন্দোলন চলছে।
এদিকে, পুরো ঘটনা তদন্তে গণিত বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।