‘তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে’
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অসংক্রামক রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সারা দেশে তিন মাসব্যাপী ওই সমীক্ষা চালানো হয়। দেশের ৮ বিভাগের ১০ জেলায় একটি করে শহর ও একটি করে গ্রামের তরুণ-তরুণীদের তথ্য থেকে তৈরি করা হয় প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ তাঁরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগের মতো অসংক্রামক রোগসমূহ মহামারি আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ডায়াবেটিস ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগসমূহ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমিত স্বাস্থ্যবাজেট দিয়ে ভবিষ্যতে এই বিপুল পরিমাণ অসংক্রামক রোগসমূহে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটি অ্যাসোসিয়েশনের (বারডেম) প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আকতার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, কক্সবাজার ডায়াবেটি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাপ্তবয়স্কদের অসংক্রামক রোগ, বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্তের হার ও এর প্রকৃত কারণ নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা হলেও কিশোর ও তরুণদের নিয়ে হয়নি।’
বাংলাদেশে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগের আক্রান্তের হার ও প্রকৃত কারণসমূহ খুঁজতে ২০২১ সালে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তিন মাসব্যাপী বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালায়।