জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম সম্পাদক আরমান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের (জবি প্রেসক্লাব) কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২২ এর নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজকের পত্রিকার মোস্তাকিম ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমার সংবাদের আরমান হাসান।
আজ সোমবার বিকেল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ইমরান আহমেদ অপু ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় জবি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিডি নিউউজের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেন, নির্বাচন কমিশনার ও এনটিভি অনলাইনের স্টাফ রিপোর্টার, প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহীন, নির্বাচনের সমন্বয়ক সদ্য সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সাদেক, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক যোগেশ রায়সহ জবি প্রেসক্লাবের নতুন নেতা ও অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আস্থার নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক খোলা কাগজের মুজাহিদ বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের সুবর্ণ আসসাইফ, প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ এবং অর্থ সম্পাদক পদে এনটিভি অনলাইনের আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশ জার্নালের অনুপম মল্লিক আদিত্য ও রাইজিং বিডির মো. মেহেদী হাসান।
ফলাফল ঘোষণার পর জবি প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ ড. মো. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব কাজ করবে বলে আশা করি। পরীক্ষা ও ক্লাস করাই শুধু দায়িত্ব নয়, অনেকে লেখালেখি করে, লেখালেখির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা বড় উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমার জেনে ভালো লাগছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একটি সংগঠন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঁকড়ে ধরে একঝাঁক তরুণদের সাংবাদিক সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অবশ্যই তোমরা সমালোচনা করবে, তবে গঠনমূলক সমালোচনা হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মুক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য সবসময় সাপোর্ট দেওয়া হবে।