এফডিসিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ১৭ সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি
রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। সে উপলক্ষে শিল্পী সমিতির ভোটার ও কার্ডধারী গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া অন্যদের ভোটের দিন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুনও। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এফডিসির গেটের বাইরে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিসহ চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা জারির কথা নিশ্চিত করে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন জানিয়েছেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে শুধু কালকের জন্য শিল্পী সমিতির ভোটারদের বাইরে অন্য ১৭টি সগঠনের সদস্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপর মহলের নির্দেশেই এটা করা হয়েছে।’
শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এমন সিদ্ধান্ত এবারই প্রথম নেওয়া হচ্ছে। এর আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইতিহাস নেই। এই সিদ্ধান্তকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের পক্ষে পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকদের সিনেমার মা-বাবা বলা হয়। অথচ আমরাই নাকি শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারব না। সব সংগঠন মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা এই নিষেধাজ্ঞা মানব না। আগামীকাল আমরা সবাই প্রবেশ করব। না হলে আমরা গেটের সামনে অবস্থান করব।’
এটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। ২১ সদস্যের কমিটির এই নির্বাচনে দুটি প্যানেল এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্রশিল্পী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২৮ জন।
এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন পীরজাদা হারুন। দুজন সদস্য হলেন জাহিদ হোসেন ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে আপিল বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।