হ্যাটট্রিক বিজয় হলেও মন খারাপ জায়েদ খানের
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে জিতেছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এ নিয়ে টানা তিন বার সাধারণ সম্পাদক পদে জিতলেন জায়েদ খান।
ফলাফল ঘোষণা শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে যে আক্রমণ, ব্যক্তিগতভাবে যে ষড়যন্ত্র এই জিনিসগুলোতে যেন আপনারা সঠিকভাবে পাশে থাকেন। আমি আবারও বলি যে এখানে কাজের চেয়ে ব্যক্তিমানুষকে টেনে ধরা বা ব্যক্তিমানুষকে বাজেভাবে উপস্থাপন করা, এটা অনেক বেশি দুঃখজনক। সত্যিই অনেক কাজ করেছি, না হলে শিল্পীরা কেন তৃতীয় বারের মতো ভোট দেবে।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, কাল থেকে সব এক। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। সবাই সবার পাশে দাঁড়াব।’
সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গণমাধ্যমকর্মী ও পদপ্রার্থীদের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। তিনি জানান, ভোট বাতিল হয়েছে ১০টি।
কঠোর নিরাপত্তায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোট শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।
শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই অন্তর্জালে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার পরিষদ বিজয়ী হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সেসব গুজব উড়িয়ে চলে ভোট গণনা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট গণনার লাইভ দেখানো হয় এফডিসি চত্বরে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। মোট ৮৫.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে, সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার অপর প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা হারুন। কমিশনের অপর দুজন সদস্য ছিলেন জাহিদ হোসেন ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। আর মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে আপিল বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।