ভোটের মাঠে না থেকেও পরী মণি পেয়েছেন ৭৯ ভোট
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে জিতেছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এ নিয়ে টানা তিন বার সাধারণ সম্পাদক পদে জিতলেন জায়েদ খান।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। মোট ৮৫.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তবে প্রার্থী হয়েও ভোট দিনে যাননি নায়করাজপুত্র বাপ্পারাজ ও আলোচিত নায়িকা পরী মণি। সারা দিন, এমনকি রাতেও ভোটের মাঠে দেখা যায়নি এ দুজনকে। অবশ্য পরী মণি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বহু আগে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর কারণে কার্যকরী সদস্য পদে প্রার্থী থেকে যান। জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে ভোট দিতে যাননি পরী মণি।
তবে কাগজে-কলমে পরী মণি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। ভোটের মাঠে না থেকেও কার্যকরী সদস্য পদে পরী ভোট পেয়েছেন ৭৯টি। আর বাপ্পারাজ পেয়েছেন ১১৭টি।
কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), রোজিনা (১৮৫), অরুণা বিশ্বাস (১৯২), সুচরিতা (২০১), আলীরাজ (২০৩), মৌসুমী (২২৫), চুন্নু (২২০) আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস (২৪০), কেয়া (২১২), জেসমিন (২০৮) ও অমিত হাসান (২১৭)।
কঠোর নিরাপত্তায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোট শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।
শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভোট গণনা শুরু হয়। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গণমাধ্যমকর্মী ও পদপ্রার্থীদের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। তিনি জানান, ভোট বাতিল হয়েছে ১০টি।
নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে, সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার অপর প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা হারুন। কমিশনের অপর দুজন সদস্য ছিলেন জাহিদ হোসেন ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। আর মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে আপিল বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।