ধর্ষণের পর হত্যা : খণ্ডিত মাথা উদ্ধার, আটক ২
খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর ডিহি গ্রামের ধানক্ষেত থেকে তিন দিন আগে উদ্ধার করা হয় এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ। আজ শনিবার নির্মাণাধীন একটি ভবনের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় সেই খণ্ডিত মাথা।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে খুলনার র্যাব-৬-এর অধিনায়ক কর্নেল মোসতাক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই নারীর নাম মুসলিমা খাতুন (২০)। তিনি পাটকলের শ্রমিক ছিলেন।
কর্নেল মোসতাক আহমেদ আরও জানান, গত মঙ্গলবার রাতে একটি মোবাইল ফোনের কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন মুসলিমা। ঘটনার পরের দিন একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মোবাইল ফোনের কলের সূত্র ধরে র্যাব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফরিদপুর থেকে গতকাল শুক্রবার রিয়াজ নামে একজনকে আটক করে। পরে ফুলতলা থেকে তাঁর সহযোগী সোহেলকেও আটক করা হয়।
কর্নেল মোসতাক বলেন, ‘আটককৃত দুজন মুসলিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ দ্বিখণ্ডিত করার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা ওই নারীর খণ্ডিত মাথা নির্মাণাধীন একটি ভবনের মাটির নিচে লুকিয়ে রাখার তথ্য দেন। এরপর আজ শনিবার সেখানে গিয়ে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।’
কর্নেল মোসতাক আরও বলেন, নিহত মুসলিমার সঙ্গে রিয়াজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিয়াজ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি ফোন করে মুসলিমাকে ডেকে এনে সোহেলকে নিয়ে যুগ্নিপাশার মুনসুরের ঘরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে গাড়িতে তোলার কথা বলে বিল এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দেন। পরে তাঁর বাড়ি থেকে বটি এনে মরদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন। সেই মাথাটি নির্মাণাধীন একটি ভবনের মেঝেতে পুঁতে রাখেন। সেখানে খণ্ডিত মাথার সঙ্গে মুসলিমার জামাকাপড় ও স্যান্ডেল পুঁতে রাখা হয়।
র্যাবের এ অধিনায়ক জানান, ঘটনার পরের দিন গত বুধবার যখন মুসলিমার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়, তখন রিয়াজও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন ভাবে তাঁর নাম উঠে আসায় তিনি আত্মগোপন করেন।