শিল্পী সমিতির নির্বাচন : জায়েদ খানের পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত বিকেলে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ থাকছে কি না, তা নিয়ে নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ বিকেলে। তবে এই প্রক্রিয়াকে বয়কট করে ‘অবৈধ’ বলেছেন জায়েদ খান।
সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া প্রার্থী নিপুণ আক্তার বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘ভোট কেনা’সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান আজ শনিবার বিকেল ৪টায় দুই পক্ষকে ডেকেছেন।
সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাকে বিষয়টি সুরাহার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের ডেকেছি। দুই পক্ষের সঙ্গে বসব। অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে একটি সারাংশ তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। কারণ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নিবন্ধন ওই মন্ত্রণালয়েই। সারাংশ দেখে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।’
গত বুধবার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণের অভিযোগ আমলে নিয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনি আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত, বর্ণিত প্রার্থীদ্বয়ের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
এই ঘটনায় জায়েদ খান এবারের নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা সোহানুর রহমান সোহানসহ পাঁচ জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার এনটিভি অনলাইনকে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত। এরাই শনিবারে নাকি একটি বৈঠক ডেকেছে (সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে); সেখানে আমাকেও উপস্থিত থাকতে হবে, এই মর্মে আমার পিয়নের কাছে চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। আপিল বোর্ড ২৯ তারিখ বিকেল ৫টার পর আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে এবং নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে গেছে। এখানেই আপিল বোর্ডের কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।