প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের নির্দেশ মৎস্যমন্ত্রীর
প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ শনিবার সিলেটের টিলাগড়ে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশে এখন মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের অভাবনীয় উৎপাদন বেড়েছে। হাওর অঞ্চলসহ দেশের যে অঞ্চলে যে জাতীয় সামগ্রী উৎপাদনের সুযোগ আছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের পরামর্শে সরকার সেখানে ভালো ভালো পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। হাওরাঞ্চলের বিষয়ে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।’
সিলেটের উন্নয়নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বের একটি অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করা হচ্ছে। এ ইনস্টিটিউট এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে যে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাণিসম্পদখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। দেশে ও দেশের বাইরে এই জনশক্তির চাহিদা থাকবে। ফলে দেশের মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো, বেকারত্ব দূর করা এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি এ ইনস্টিটিউট থেকে তৈরি হবে। এটি সিলেটের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।’
সম্প্রতি গাজীপুর সাফারি পার্কে জেব্রা ও সিংহী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে আনা প্রাণিদের থাকার পরিবেশ ও জলবায়ু অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে একই নয়। এর বাইরে বর্তমানে প্রাণিদের মধ্যে কঠিন রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। জেব্রার মৃত্যু একটা রোগের কারণে হয়েছে। একইভাবে চিড়িয়াখানায় প্রাণি মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আমরা একাধিক ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। সেক্ষেত্রে অবহেলার কারণে নয়, রোগ সংক্রমিত হয়ে প্রাণি মারা যাচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারপরও প্রাণির মৃত্যুতে আমাদের কোনো ত্রুটি আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য প্রাণিদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’