যেভাবে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করবেন
অনেকেই কোলন ক্যানসারে ভুগছেন ও ঝুঁকিতে রয়েছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিলকিস ফাতেমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
কোলন শরীরের কোন অংশ এবং কখন বুঝব কোলনে ক্যানসার হয়েছে? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. বিলকিস ফাতেমা বলেন, কোলন ক্যানসার আমাদের মধ্যে একটা ভীতিকর ব্যাপার তৈরি করে ফেলেছে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত গেলেই অনেকে মনে করে কোলন ক্যানসার বা পেটে ব্যথা করলেও এমন অবস্থা হয় যে রোগীরা একটু প্যানিক হয়ে যায়, ভয় পেয়ে যায়।
ডা. বিলকিস ফাতেমা বলেন, আমাদের দেশের যে খাদ্যাভ্যাস, কোলন ক্যানসার ওয়েস্টার্ন কান্ট্রির চেয়ে তুলনামূলক কম হয়। যেটা প্রবলেম, আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয় রোগটা ধরা পড়ে না; যখন ধরা পড়ে, একেবারে অ্যাডভান্স স্টেজে গিয়ে ধরা পড়ে। রোগীর পেট ফুলে গেছে বা একেবারে রক্তশূন্য হয়ে গেছে, চলতে পারে না; তখন উনারা হাসপাতালে আসেন। কিন্তু আমরা আগে থেকেই যদি স্ক্রিনিং প্রোটোকল যেটা, রোগ প্রকাশ পাওয়ার আগে যদি রোগটা ধরতে পারি যে এ রোগটা হয়ে গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে আছে অথবা হতে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য।
কীভাবে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করব, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. বিলকিস ফাতেমা বলেন, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসার। আমি যেটা বলব দর্শককে, বয়স ৫০ হয়ে গেলে সবারই একবার অন্তত কোলনোস্কপি করা উচিত। কারও যদি পায়খানায় রাস্তা দিয়ে রক্ত যায় বা ঘন ঘন পেটব্যথা হয়, হঠাৎ করে তাঁর যদি বাউয়েল হ্যাবিট চেঞ্জ হয়ে যায়, পায়খানার অবস্থা চেঞ্জ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেওয়া উচিত। আর হেলদি লাইফস্টাইলের ওপর কিছুই নেই।
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।