মেছতা কেন হয়, কমানোর উপায়
অনেকেই মেছতার সমস্যায় ভুগছেন। মেছতা নারীর কমন একটি সমস্যা। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে মেছতা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মেছতা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ল্যাব এইড হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ইশরাত জাহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
মেছতা কেন হয় ও এটি কমানোর উপায় কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইশরাত জাহান বলেন, মেছতা খুব কমন একটি প্রবলেম, বিশেষ করে আমাদের এশিয়ার সাবকন্টিনেন্টে। যাদের স্কিনে মেলানিন বেশি, তাদের ক্ষেত্রে মেছতা খুবই কমন। মেছতা হলো ত্বকের হাইপারপিগমেন্টরি ডিসঅর্ডার। আমাদের ত্বকে মেলানিনের প্রডাকশন যখন কোনও এক জায়গায় বেশি হয়ে থাকে, তখন সেখানে হাইপারপিগমেন্টেশন বা মেছতা হয়ে থাকে।
ডা. ইশরাত জাহান আরও বলেন, মেছতা সাধারণত বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। তবে সাধারণত আমাদের মুখে বেশি হয়। মুখে ছাড়াও মেছতা পিঠে হতে পারে এবং ঘাড়েও হতে পারে। মেছতার ক্ষেত্রে যদি ছেলেমেয়ের কথা বলি, তবে মেয়েদের মেছতা হওয়ার প্রবণতা একটু বেশি ছেলেদের তুলনায়। মেছতা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। প্রথম কারণটি হচ্ছে জেনেটিক বা বংশগত। কারও যদি বংশগতভাবে মেছতার হিস্ট্রি থাকে, তার মেছতা হওয়ার চান্স খুব বেশি। এর পর হরমোনাল কারণে, যেমন থাইরয়েড ডিসঅর্ডার, এ হরমোনের প্রভাবে অনেকের মেছতা হয়ে থাকে। অনেকের প্রেগন্যান্সিতে মেছতা হয়। প্রেগন্যান্সির পরবর্তীতে অনেকের চলে যায়, আবার অনেকের থেকে যায়।
ডা. ইশরাত জাহান যুক্ত করেন, প্রেগন্যান্সি পরবর্তীতে যে মেছতাটা আসে, এটা সাধারণত হরমোনাল কারণে আসে। এ সময় হরমোনাল চেঞ্জ হয়। হরমোনাল চেঞ্জের কারণেই সাধারণত মেছতা আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সির পরে মেছতা চলে যায়। যাদের ক্ষেত্রে যায় না, তারা যদি প্রাথমিক স্টেজে আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা হিস্ট্রি নিই, সে ব্রেস্টফিডিং মম না কি। যদি এ রকম কোনও হিস্ট্রি না থাকে তাহলে তাদের আমরা বিভিন্ন ধরনের ট্রপিক্যাল ক্রিম দিয়ে থাকি।
মেছতা কী, কী কারণে হয় এবং এর প্রতিকার কী, এসবের বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।