ফাইনালে যেতে মুস্তাফিজদের চাই ১৪৯ রান
প্রথম কোয়ালিফায়ারেই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করতে পারতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কিন্তু সাকিবের বরিশালের কাছে হেরে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আজ তাদের সামনে ফাইনালে ওঠার শেষ সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে নেমে চট্টগ্রামকে অল্পতে আটকাতে পারেনি কুমিল্লা। বরং টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনেও মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম। বাঁচা-মরার ম্যাচে মুস্তাফিজদের ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেটে ১৪৮ রান করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চলমান বিপিএলের ফাইনালের টিকেট পেতে এই রান টপকাতে হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকস ও জাকির হাসানে উড়ন্ত শুরু করে চট্টগ্রাম। তবে এই ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। চতুর্থ ওভারেই জ্যাকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জ্যাকস।
আগের ম্যাচে ঝড় তোলা চ্যাডউইক ওয়ালটন আজ সুবিধা করতে পারেননি। উইকেটে আসা মাত্রই তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মঈন আলী। নিজের পরের ওভারে জাকির হাসানকেও থামান মঈন। ইংলিশ তারকার বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চট্টগ্রামের ওপেনার। ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ২০ রান করেন তিনি।
তিন টপ অর্ডারকে হারানোর পর আরও হতাশা দেখে চট্টগ্রাম। একে একে হারায় অধিনায়ক আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেনের উইকেট। দলীয় ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।
বিপদে পড়া চট্টগ্রামকে বাঁচাতে হাল ধরেন আকবর আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের চাপ সামলে দুজনে নির্ভার হয়ে খেলেন। এই জুটিতে লড়াই জমিয়ে তোলে চট্টগ্রাম। অবশেষে ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার। থিতু হয়ে যাওয়া আকবরকে ফিরিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ২০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন আকবর।
এরপর শেষ দিকে মিরাজ-মৃত্যুঞ্জয় মিলে চট্টগ্রামকে ১৪৮ রানের পুঁজি এনে দেন চট্টগ্রামকে। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন মিরাজ। আর মৃত্যুঞ্জয় করেন ১৫ রান।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পক্ষে বল হাতে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০ রান খরচায় মঈন আলী নেন তিন উইকেট। আর শহিদুলের শিকারও সমান তিনটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৯.১ ওভারে ১৪৮/১০ (জাকির ২০, জ্যাকস ১৬, ওয়ালটন ২, আফিফ ১০, শামীম ০, মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, হাওয়েল ৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৫, নাসুম ০, শরিফুল ০ ; মঈন ৩-১-২০-৩, মুস্তাফিজ ৩.১-০-১৩-১, শহীদুল ৩-০-৩৩-৩, নারাইন ৪-০-২৪-০, আবু হায়দার ২-০-২১-১, তানভীর ৪-০-৩৩-১।